Thursday, 6 September 2018

প্রশ্ন ও উত্তর

১. ধর্ম্ম বলতে কি বোঝায়  ?

ধৰ্ম বলতে আমি বুঝি, প্রকৃতির নিয়ম। ধর্ম্ম মেনে চলা মানে প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলা। আগুনের ধৰ্ম উত্তাপ প্রদান করা বা শুষ্ক করা । জলের ধৰ্ম আদ্র করা। বাতাসের ধৰ্ম  ছড়িয়ে দেওয়া। তেমনি মানুষের ধৰ্ম আত্ম-উপলব্ধি করা। 
   
২. ধর্ম্ম পথে চলতে গেল, একান্তভাবে, কি কি বিষয়ের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন ?

ধৰ্ম পথে চলতে গেলে, অজ্ঞানতাকে কাটিয়ে উঠতে হবে। প্রকৃতির ধর্মকে বুঝতে হবে। প্রকৃতি ও পুরুষের মিশ্রনেই এই জগৎ। প্রকৃতি তার নিজস্ব নিয়মে চলে। পুরুষ আপন খেয়ালে চলে। প্রকৃতিতে কার্য কারন সম্পর্ক আছে। পুরুষে কোনো কার্য কারন সম্পর্ক  নেই। ইচ্ছাশক্তি পুরুষের। কর্মশক্তি প্রকৃতির।   

৩. মহাত্মা গুরুনাথ প্রবর্তিত "সত্য ধর্ম্ম" আপনার কাছে আদর্শ ধর্ম্ম বলে মনে হয় ?

ধৰ্ম একটাই।  সত্য, অসত্য বলে কিছু নেই। ধৰ্ম কখনো অসত্য হয় না। ধৰ্ম স্থিত।  একে পরিবর্তন করা যায় না।  মানুষের কল্যাণের জন্য মহাপুরুষরা কিছু পথ বা  উপায় বলে দেন।  সেটাকেই আমরা ধর্মপথ  বলে মনে  করি। মহাত্মা গুরুনাথ প্রবর্তিত সত্য-ধৰ্ম এমনি একটি পথ মাত্র। এখানে উনি বহু ধর্মপথের সমন্বয় ঘটিয়েছেন। ধৰ্মপথ  বলতে সাধারণতঃ আমাদের যেটা বলা হয়ে থাকে - সেটা হলো, সত্য কথা বলো, সৎ পথে চলো, সৎ সঙ্গ করো। ইত্যাদি ইত্যাদি।

আমি কিন্তু  ধৰ্ম বলতে আমি বুঝি, প্রকৃতির নিয়ম। ধর্ম্ম মেনে চলা মানে প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলা। আগুনের ধৰ্ম উত্তাপ প্রদান করা বা শুষ্ক করা । জলের ধৰ্ম আদ্র করা। বাতাসের ধৰ্ম  ছড়িয়ে দেওয়া। তেমনি মানুষের ধৰ্ম আত্ম-উপলব্ধি করা। স্ব-স্থিত থাকা। আমরা স্ব-স্থিত থাকতে পারিনা বলে, যত দুঃখ - কষ্ট পাই। আমরা নিজেকে ভুলে গেছি বলে এতো দুঃখ। আমরা নিজেকে ভুলে যাই বলে এতো কষ্ট।

কেউ তার নিজের ধর্ম ছোট মনে করে না। আপনারাও নিশ্চই আপনাদের ধর্মকে ছোট মনে করেন না। এ প্রসঙ্গ একটা গল্প বলি। উপনিষদের গল্প : ছান্দোগ্য উপনিষদের গল্প।

একদিন প্রাণ অর্থাৎ শ্বাস, মন, বাক্য, চোখ, কান এদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া বাঁধলো।  প্রত্যেকেই বলছে আমি বড়ো। কিন্তু কে বড়ো কিছুতেই মীমাংসা হয় না। শেষে কোনো উপায় না দেখে, সকলে পরামর্শ করে তাদের পিতা প্রজাপতি ব্রহ্মার কাছে গিয়ে উপস্থিত হলো। বললো : বাবা আমাদের মধ্যে কে বড়  তা ঠিক করে দিতে হবে।  প্রজাপতি তো সব কিছুর স্রষ্টা। দেবতা অসুর, পৃথিবী, গাছপালা, মানুষ, - এমনকি মানুষের মন, প্রাণ, হাত, পা, চোখ কান, সমস্তই  তার সৃষ্টি। সবারই পিতা তিনি। ভালো মন্দ, জ্ঞানী, অজ্ঞানী সবই  তার সৃষ্টি। সন্তানতুল্য। ব্রহ্মা পড়ে গেলেন মহা বিপদে, কাকে ছোট বলবেন, আবার কাকেই বা বড়ো বলবেন। হাজার হলেও বাবার কাছে সব ছেলেই তো সমান।  কাকেই বা ছোট বলবেন কাকেই বা বড়ো বলবেন ।  প্রজাপতি ব্রহ্মা। বুদ্ধির ডিপো।  উপায় একটা বার করে ফেললেন।  এবং বললেন - তোমাদের মধ্যে কে শরীর  ছেড়ে গেলে শরীরের অবস্থা সব থেকে খারাপ হয়, সেই শ্রেষ্ট।

বকবক যে বেশি করে অর্থাৎ বাক্য অমনি লাফিয়ে পড়লো। - আমি চললাম - দেখি এবার তোমাদের  কি দশা হয়? আমিই সব চাইতে বড়, এটা  যতক্ষন পর্যন্ত স্বীকার না করছো ততক্ষন আমি আর আসছি না।  বাক্য শরীর  ছেড়ে গেল। - কিন্তু বোবা মানুষও তো বাঁচে। এখন আর শরীর  কথা বলে না বটে। চোখে দেখে, কানে শোনে, মন দিয়ে ভাৱনা-চিন্তা করে। প্রাণে তো বেঁচে আছেই। কাজেই বিশেষ অসুবিধা হলো না। এখন এক মাস, দুই মাস, ছয় মাস, এক বছর  হয়ে গেল। কেউ আর তাকে ফিরিয়ে নেবার জন্য এলো না। বাক্য শেষপর্যন্ত হতাশ হয়ে  এসে দেখেদেখলো, শরীরটা তো বেশ ভালোই আছে। বরং আগের চাইতে আরো ভালো হয়েছে। দেখে একটু বিমর্ষ হলো। বললো কি হে সব কেমন আছো ? সবাই বললো - ভালোই ছিলাম। কথা বলতে পারিনি বটে, তবে,চোখে দেখেছি, কানে শুনেছি, মন দিয়ে  ভাবনা-চিন্তাও করেছি, আর প্রানে যে বেঁচে  ছিলামই, তাতো দেখতেই পারছো । বাক্যের মাথা হেট্ হয়ে গেল।  কথা না বলে, সুরসুর করে শরীরের মধ্যে প্রবেশ করলো।

এবার চোখ আল্ল্হাদে নেচে উঠলো। বাক্যের সঙ্গে তার লড়াইটা সবচেয়ে বড়। তাই বাক্য যখন হেরে গেছে, তখন সে ভাবলো, আমি ছাড়া পৃথিবী অন্ধকার। দুনিয়াটা তো আমিই দেখি। হয় এবার আমাকে বড়ো বলে মানো, নতুবা আমি চললাম। কেউ কোনো কথা বলছে না দেখে, চক্ষু গড গড  করে শরীর থেকে বেরিয়ে পড়লো। কিন্তু অন্ধের ওতো জীবন চলে। চোখে দেখতে পারছে না বটে, কিন্তু কথা বলছে, কানে শুনছে, মনে চিন্তা-ভাবনা করছে আর প্রাণে তো বেঁচে আছেই। চক্ষুও এক বছর, বাইরে থেকে, কারুর কাছ থেকে ফেরার ডাক না পেয়ে, ফিরে এসে দেখে,  শরীর  তো ভালোই আছে।বরং আরো ভালো হয়েছে।  তাই কোনো কথা না বলে চুপি চুপি আবার শরীরের মধ্যে প্রবেশ করলো।

এবার চোখের নিকটতম প্রতিবেশী হচ্ছে কান। তারও অহংকার কম নয়। যখন চোখের সামনেই চোখের  পরাজয় ঘটলো, কান ভাবলো এবার আমার শ্রেষ্টত্ব দেখাই না কেন।  হয় এবার আমাকে বড়ো বলে মানো, নতুবা আমি চললাম। কেউ কোনো কথা বলছে না দেখে, কান  গড গড  করে শরীর থেকে বেরিয়ে পড়লো। কিন্তু বধির-এর  ওতো জীবন চলে। কানে শুনতে  পারছে না বটে, কিন্তু কথা বলছে, চোখে দেখছে , মনে চিন্তা-ভাবনা করছে আর প্রাণে তো বেঁচে আছেই। কান-ও  এক বছর, বাইরে থেকে, কারুর কাছ থেকে ফেরার ডাক না পেয়ে, ফিরে এসে দেখে,  শরীর  তো ভালোই আছে বরং আরো ভালো হয়েছে ।  তাই কোনো কথা না বলে চুপি চুপি আবার শরীরের মধ্যে প্রবেশ করলো।

এবার মন।  সে শুধু ভাবে।  বিচার করে, চিন্তা করে। চিন্তা হীন জীবন হয় নাকি ? তাহলে আমিই শ্রেষ্ট। মন বললো দেখো, আমি আর প্রান,  এ ছাড়া তো কেউ আর বাকি রইলো না। প্রাণ করে টা  কি ? কেবল আসে আর যায়। তোমরা তাহলে আমাকেই শ্রেষ্ট বলে মেনে নাও। আসলে প্রাণ  এই লড়াই-এ ছিলই  না। কোনো কথাই বলে নি। কিন্তু কেউ কোনো কথা বলছে না দেখে মন এবার রেগে মেগে বেরিয়ে গেল। দেখ কেমন লাগে। এখন আর শরীরে বিচার নাই, চিন্তা নাই, ভাবনা নাই। তবু শরীর বেঁচে আছে।
তবে কে বড়ো  ? মন-ও এক বছর  পরে ফিরে এলো। এসে দেখে শরীরতো দিব্যি আছে। কোনো কথা না বলে মন শরীরের মধ্যে প্রবেশ করলো।

এবার প্রাণের পালা। প্রাণ  জানে কে বড়ো। যে বড় তার অহংকার নেই। বড়ো বড়ো কথাও বলে না। নীরবে নিভৃতে নিজের কাজ করে চলে। আর তার জন্যই  সবার বাড়-বাড়ন্ত ।  সবার অহংকার। সেই সকলকে পোষন করছে। সেই সবাইকে শক্তি যোগাচ্ছে। কিন্তু সে নির্বিকার। সকলের অভিমান যখন চূর্ণ হয়ে গেল - তখন নিজেকে জানান দেবার জন্য প্রাণ শরীর  ছাড়ার উপক্রম করলো। ত্রাহি ত্রাহি রব  উঠে গেলো সবার মধ্যে। বিপদ বুঝে মন, বাক্য, চক্ষু, কান সবাই এসে প্রাণের পায়ে পড়লো।  ছেড়ে যেও না, ছেড়ে যেও না। তুমিই সব, তুমিই সব, তুমিই বড়, তুমিই শ্রেষ্ট, তুমিই বশিষ্ট, তুমিই প্ৰতিষ্ঠা, তুমিই সম্পদ, তুমিই আয়তন, তুমিই আত্মা - তুমি চলে গেলে সব শব্  হয়ে যাবে ।              

এখন সত্য-ধর্ম্ম আদর্শ ধর্ম্ম কেন ? ধরুন আপনি একটা সোনি কোম্পানির  টিভি কিনেছেন। এখন টিভি কেনার সময় সময় আপনাকে একটা লিফলেট দিয়েছে। তাতে কিছু সতর্কবাণী লেখা আছে। যেমন, এটি আগুনে পুড়ে যাবে, জলের মধ্যে টিভি রাখলে টিভি নষ্ট হয়ে যাবে। ইত্যাদি, ইত্যাদি। এখন টিভিটা যদি ভাবে, বা টিভির ক্রেতা যদি ভাবে, আমি জলেও থাকবো  , আগুনের কাছেও যাবো , দেখিনা কি হয় ? তাহলে কি হবে ? অক্কা পেয়ে যাবে।  হবে না ? হবে। তেমনি ভগবান যখন মানুষকে বা এই জীব জগৎকে, সৃষ্টি করেছেন তখন কিছু সতর্ক বাণী বলে দিয়েছেন। এটাই ভগবানের আইন, কুদরত কি কানুন। প্রকৃতির নিয়ম। বিধির বিধান। ভগবানের এই বাণী নিয়ে আমরা পরে আলোচনা করবো। এখন  আমাদের  সেই  সতর্ক বাণী মেনে চলা উচিত।  যদি না করি তাহলে আমাদের দুঃখ হবে। আমরা দুঃখী হবো। এবং আমাদের দুঃখী হবার এটাই কারন।

এখন টিভিটা খারাপ হয়ে গেলে কি করবো ? কেউ বলবে, বাড়িতে মিস্ত্রি ডাকো। কেউ বলবে দোকানে নিয়ে যাও। আমি বলবো কোম্পানিকে খবর দাও। কেননা একমাত্র কোম্পানিই জানে এর মধ্যে কি আছে, এবং কি ভাবে একে  ভালো করতে হবে। মহাত্মা গুরুনাথ এই কোম্পানিকে খবর দেবার কথাই বলেছেন। তিনি সাধুদের কাছে যেতে বলেননি। দেবতাদের কাছে যেতে বলেননি। পরম-আত্মার কাছে অর্থাৎ পরম-পিতার কাছে যেতে বলেছেন। যিনি আমাদের সৃষ্টি-কর্তা।  অন্যরা ঘরে, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গনেশ, কৃষ্ণ, শিব কে ডেকে আনতে  বলছেন। কেউ বলছেন আশ্রমে  যাও।  পাহাড়ে যাও।  মন্দিরে যাও, মাসজিতে যাও গুরুদ্বারে যাও ।  গুরুদেব বললেন পরমাত্মার কাছে বস।  তার  কাছে বস উপাসনা কারো , তাকেই ডাক, তার কাছে প্রার্থনা জানাও। ভজন কারো । এইখানেই সত্যধর্ম আর অন্য্ ধর্মের মধ্যে পার্থক্য। ওরা বলছে দেবতাদের পূজা করো, ওরা  বলছে আশ্রমবাসী হও। মহাত্মা বলছেন সব ছেড়ে এককে ধরো।

এখন এই প্রকৃতির আইন  কি ? আর পুরুষের আইন  বা কি ?

প্রকৃতির জগতে কারন ভিন্ন কর্ম হয় না। প্রকৃতির তার নিজস্ব নিয়মে চলে। এখানে কারুর হাত নেই।
তুমি বীজ লাগাও গাছ হবে।  গাছ লাগাও ফল হবে। পরিবেশ পেলে অবশ্যই  হবে। প্রকৃতির নিজস্ব নিয়মানুবর্তিতা আছে। তোমার ইচ্ছে মতো সে হবে না। সময় ও পরিবেশ পেলে তবেই হবে। এবং নির্দিষ্ট ফলই  দেবে। এর জন্য তোমাকে অপেক্ষা করতে হবে। পরিচর্যা করতে হবে। বীজ লাগিয়েই গাছ দেখতে পারবে না।  সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ পেলে তবেই হবে।

কিন্তু পুরুষের জগৎ আলাদা। এখানে কোনো নিয়মের বালাই নেই। এখানে আবেগই শেষ কথা। অসীম অনন্ত পুরুষ আপন খেয়ালে ভাঙছেন গড়ছেন। ইচ্ছাই শেষ কথা। এই দুটিরই অবস্থান আছে আমাদের মধ্যে। তাই আমরা প্রকৃতি পুরুষের মিশ্রণ।

 আমরা গুন্ থেকেই দ্রব্য চিনতে পারি ।  আমরা গুন্ থেকেই সাধারণ পুরুষ ও মহাপুরুষের মধ্যে পার্থক্য নির্নয় করতে পারি। অতএব তুমি যদি সাধারণ পুরুষ থেকে উত্তম পুরুষ হতে চাও তবে যে  গুনের সাধনা কারো। 
গুরুদেবও, এই গুনের সাধনার কথা বলেছেন। প্রেমের সাধনা, অর্থাৎ সর্ব উচ্চতম গুনের সাধনা। মাস্টারের ছবি  সামনে রেখে ধ্যান করলে জ্ঞান হয় না। শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় না। মাস্টার মহাশয় যা বলেছেন তাই করতে হয়। মানতে হয়।

সব শেষে বলি, আপনাদের মধ্যে যে আত্মিক সম্পর্ক আমার চোখে পরে, সেটাই আমাকে সত্য ধৰ্ম সম্পর্কে জানতে উৎসাহ জোগায়। সত্য ধর্মের এখানেই সার্থকতা।
   
        
     
৪. সাধনা, ভজনা, উপাসনা  ভিন্ন মানব জীবনে, ধর্ম্ম পথে চলা সম্ভব কি না ?

সাধক যা করেন তাই সাধনা।  ভক্ত যা করেন, তাই ভজনা।  ঈশ্বরের কাছে উপবেশন মানেই উপাসনা। এগুলো সবই মনের ধৰ্ম। মানসিক বৃত্তির উন্নতি সাধনে, এগুলো সহায়ক। আগেই বলেছি, পুরুষ আপন খেয়ালে চলে।  তাকে ধরা যায় না।  তিনি ধরা দেন।   

৫. সংগীত ধর্ম্ম পথে কতটা সহায়ক ?

ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য যত  পথ আছে, যা মানসিক বৃত্তির উন্নতি সাধনে সহায়ক, তার মধ্যে সংগীত সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ। তাই সঙ্গীত ধৰ্ম পথে অবশ্যই সহায়ক।

তবে একটা কথা বলি, মহাত্মা গুরুনাথের বই পড়ে  আমার যেটা মনে হয়েছে, ধর্ম্মপথে চলতে চলতে আমাদের অনেক গলি ঘুচি দিয়ে প্রধান রাস্তায় আসতে  হয়। এই প্রধান রাস্তা হচ্ছে একাগ্রতা। এক অর্থাৎ সেই পরমপিতা পরমেশ্বরের সঙ্গে নিজেকে এক করা, এককে অগ্রাধিকার দেওয়া ।  একাগ্রতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আর একদিন হবে। এই গলি হচ্ছে গান। এটি প্রধান রাস্তায় যাবার পথ মাত্র। প্রধান রাস্তা নয়। যারা গলির মধ্যে থাকেন, তাদের তো গলি পেরোতে হবে। তাই গান ভালো। অন্তরের মলিনতা দূর করে, এই ধর্মসঙ্গীত ।   তবে এটা রাস্তার প্রারম্ভ মাত্র।  ঈশ্বরের পথ থেকে   যেটা বহু দূর। প্রধান রাস্তা হচ্ছে, একাগ্রতা। 

সমাপ্ত



No comments:

Post a Comment