Wednesday 9 October 2019

দেবী-মাহাত্ম্য

দেবী-মাহাত্ম্য
 

হিন্দুদের ধর্ম্মশাস্ত্রগুলো পড়লে বুঝবেন, শুধু যুদ্ধ যুদ্ধ আর যুদ্ধ। দেবাসুরের যুদ্ধ, রাম -রাবনের যুদ্ধ, কুরু-পাণ্ডবের যুদ্ধ, মহিষাসুরের যুদ্ধ। কিসের এত যুদ্ধ ? আর এই সব যুদ্ধের ইতিহাস কখনো ধর্ম্মশাস্ত্র হতে পারে ? তাই যদি হতো তবে প্রথম বা দ্বিতীয়  বিশ্বযুদ্ধ-এর ইতিহাস নিশ্চয়ই আরো বড়ো  ধর্ম্ম শাস্ত্র হতে পারতো।  তা কিন্তু হয় নি। কেন, তার কারন টা  কি ?

আমরা দেবাসুরের যুদ্ধের কথা শুনেছি। সমুদ্র মন্থন করে  উঠে এসেছিলো অমৃত।  আর সেই অমৃত নিয়ে ভাগাভাগি শুরু হলো । আর দেবাদিদেব মহাদেব যখন সেই অমৃতকলসি নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন সেই  অমৃত এই পৃথিবীর কোথায় ছলকে ছলকে  পড়েছিল, আমরা সেই সব জায়গায় তীর্থক্ষেত্র তৈরি করেছি। মহামায়ার অংশ সতীর মৃত্যুর পরে, কোথায় তার মৃতদেহ পড়েছিল, সেই সব জায়গা খুঁজে সেখানে আমরা শিবের আরাধনা ক্ষেত্র বানিয়েছি। রামচন্দ্র কোথায় জন্মেছিলেন, সেটা নিয়ে আমাদের বিতর্কের শেষ নেই। এই যুদ্ধক্ষেত্র কোথায়, তা জানার জন্য, কেউ আমরা অন্তরীক্ষে বিচরণ করছি, কেউ কুরুক্ষেত্র খুঁজে পেয়েছি হরিয়ানায়। আসলে যুদ্ধ আর ধর্ম্মযুদ্ধ যে এক নয়, সেটা আমাদের বুঝতে হবে। আর এই যুদ্ধ যে আদৌ এই মর্তলোকে বা অন্তরীক্ষে বা আকাশে হয় নি সেটা আমাদের বুঝতে হবে। আসলে এই যুদ্ধক্ষেত্রটা হচ্ছে আমাদের এই দেহ। আর দেহি হচ্ছেন আত্মা। যা আমরা ভগবানের মুখে গীতার বাণীতে  শুনেছি। তবু, আমাদের অবুঝ মন বাইরে, এই যুদ্ধক্ষেত্র খুঁজে বেড়াচ্ছে।
 আসলে, ভগবৎ গীতা, আমাদের মনোময় কোষের সাধনা। দেবী মাহাত্মা, বেদ  বেদান্ত  আমাদের বিজ্ঞানময় কোষের সাধনা। রামায়ণ আমাদের পুরুষাকারের সাধনা। সত্যি কথা বলতে কি, আমাদের সংস্কার ও বাসনাবীজ আমাদের মুক্তির অন্তরায়।  আমাদের কর্ম্ম ত্রিবিধ - সঞ্চিত, প্রারব্ধ, ও ভবিষ্যৎ।আর এই কর্ম্ম আমাদের গুণপ্রসূত অর্থাৎ সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ গুন্ প্রসূত। এবং গুনের বিচরণ ক্ষেত্র হচ্ছে, আমাদের দেহস্থিত গ্রন্থিচক্র।  আর এগুলো হচ্ছে, ব্রহ্মগ্রন্থি, বিষ্ণুগ্রন্থি, ও রুদ্রগ্রন্থি। আর গ্রন্থিভেদ যতক্ষন না হচ্ছে, ততক্ষন আমাদের এই জন্ম-মৃত্যুর চক্রে ঘুরপাক খেতে হবে।
দেবাসুরের যুদ্ধের কাহিনীতে  আমরা পেয়েছিলাম রুদ্রগ্রন্থির ভেদের তত্ত্ব। কুরু পাণ্ডবের যুদ্ধে উঠে এসেছিলো, ভাগবত গীতা। আমরা পেয়েছিলাম, বিষ্ণুগ্রন্থি ভেদের তত্ত্ব। আর মহিষাসুরের যুদ্ধে আমরা পেয়েছি ব্রহ্মগ্রন্থি ভেদের তত্ত্ব । তাই এগুলো না বুঝলে, আমরা কেবল বহির্বিশ্বে আমাদের নজর রাখবো, ঘুরে ঘুরে মরবো আবার জন্মাবো। আবার মরবো আবার জন্মাবো।
এখন মাতৃপক্ষ চলছে। তাই আমরা আজ মাকে আশ্রয় করে আমাদের আলোচনা এগিয়ে নিয়ে চলবো। মাতৃ চরণে, আশ্রয় নিলে, অর্থাৎ মায়াকে  বুঝতে পারলে, আমরা হৃদয়গ্রন্থি ছেদন করতে পারবো। কথাটা খেয়াল করুন, গ্রন্থি অর্থাৎ বাঁধন।  একটা একটা গ্রন্থি মানে আমাদের একটা একটা বাঁধন। সেগুলো ছেদন করে আমাদের বেরিয়ে পড়তে হবে। মা চন্ডি আমাদের এই বাঁধন, দিয়ে রেখেছেন।  আবার তিনিই পারেন, সেই বাঁধন  খুলে দিতে। চন্ড কথাটার অর্থ  অতিশয় ক্রূদ্ধ।  চন্ডর স্ত্রীলিঙ্গ চন্ডী। এই মা বা মা-চন্ডী যখন আত্মপ্রকাশ করেন, অর্থাৎ আমাদের বোধে জাগ্রত হন তখন তিনি তিনটি রহস্যঃ ভেদ করেন। অর্থাৎ তিন কুচক্রীকে বধ করেন, মধুকৈটভ বধ করেন।  এই মধুকৈটভ আর কেউ নয়, আমাদের ব্রহ্মগ্রন্থি। দ্বিতীয় মহিষাসুর বধ করেন, অর্থাৎ আমাদের বিষ্ণুগ্রন্থি ভেদ করেন। এবং সবশেষে শুম্ভ-নিশুম্ভ  বধ করেন, অর্থাৎ আমাদের রুদ্রগ্রন্থি ভেদ করেন।
ত্রিগুণাত্ত্বিক প্রকৃতি সম্পর্কে যতদিন না পর্যন্ত আমাদের জ্ঞান হয়, ততক্ষন আমাদের  এই তত্ত্বকথা হৃদয়ঙ্গম হয় না। অনুলোম-বিলম্ব-কুম্ভক অর্থাৎ প্রাণপ্রবাহ যতক্ষন না আমাদের স্থিরত্ত্বের অভিমুখী হয়, ততক্ষন মায়ের মুখ আমাদের মনে পড়ে না। প্রাণশক্তির প্রবাহ যখন স্থির হয়ে যায়, তখন মায়ের অর্থাৎ চন্ডীর  আবির্ভাব হয়। আর আমাদের অন্তরের অসুরকুল, তখন তাকে বাঁধা দিতে প্রবৃত্ত হয়। তাই, ত্রিগুণের স্থিরত্ত্ব আমাদের অন্তরে দেবাসুরের সংগ্রাম শুরু করে দেয়। তখন আমরা প্রতক্ষ্য করি, মা স্বয়ং যুদ্ধক্ষেত্রে আবির্ভাব হয়েছেন , এবং সুর-বিরোধী ভাবসমূহকে সমূলে উৎপাটন করছেন। মা আমাদের, সব ভাবে, অসুর থেকে মুক্ত করে, শুদ্ধ, পবিত্র,  করে আমাদেরকে কোলে তুলে নেন। অর্থাৎ মৃত্যুপুরীতে এসে অনিত্য বস্তু নিয়ে খেলতে গিয়ে যে ধুলো-ময়লা মেখে নিজেকে সং সাজিয়ে তুলেছি আমরা, সেই ধুলোবালি ঝেড়ে কোলে তুলে নেন। আমাদের খেলাঘর অর্থাৎ স্থুল-সূক্ষ্ম-কারন এই তিনটি খেলাঘরকে ভেঙে দেন। আমরা মায়ের কোলে নিশ্চিত আশ্রয় পাই।

ওম শান্তি শান্তি শান্তিঃ।  হরি ওম।

দেবী মাহাত্ম (দুই)

গল্পটা এই রকম। 
একসময়, স্বারোচিষ-মন্বন্তরে চৈত্রবংশজাত সমগ্র পৃথিবীর অধিপতি সুরথ নামে এক রাজা ছিলেন। তিনি আপন সন্তানজ্ঞানে প্রজাবর্গের পালন-পোষন করতেন। কিন্তু সেই প্রজাবর্গই  একসময় তার শত্রূ হয়ে গেলো। স্বাধীনতার দাবিতে তারা  রাজধানী কোলাকে ধংশ করতে উদ্দত হলো। তখন অতি-বলশালী রাজা সুরথের সাথে তাদের যুদ্ধ লেগে গেল। বিদ্রোহীরা রাজার থেকে হীনবল হলেও, রাজা পরাজিত হলেন। কারন রাজা ছিলেন, প্রজাদের প্রতি স্নেহপ্রবণ।  রাজা পরাজিত হয়ে, নিজ অন্তঃপুরে আশ্রয় নিলেন । কিন্তু তখনও তিনি তার সন্তানসম প্রজা যারা আজকে শত্রুতে পরিণত হয়েছে, তাদের দ্বারা আক্রান্ত হলেন। এইসময়, তার মন্ত্রীবর্গ, সুযোগ বুঝে, তার রাজকোষ লুট করতে লাগলো । রাজাকে পরাজিত করলো। পরাজিত রাজা সুরথ মৃগয়ার ছলে, ঘোড়ায়  চড়ে, বনে গমন করলেন। 

সেখানে সেই বনের মধ্যে, ঋষিবর মেধসের আশ্রম দেখতে পেলেন। এই আশ্রমটি ছিল, একদিকে যেমন জঙ্গলাকীর্ণ, তেমনি হিংস্র জীব-জন্তু দ্বারা পরিবেষ্টিত। আবার অন্যদিকে অসংখ্য মুনিশিষ্য দ্বারা সুশোভিত। রাজা সুরথ সেখানে, মুনিদের দ্বারা আপ্যায়িত হলেন। রাজা এইসময়, সেই তপোবনের মধ্যে ইতস্তত, ঘোরাফেরা করতেন, এবং নানান রকম চিন্তা করতেন। ভাবতেন, যে পৃথিবী রাজ্যকে আমি এত যত্ন করে লালন-পালন করতাম, সেই রাজ্য কি এখন আমার ভৃত্যগণ ধর্মানুসারে পালন করছে ? আমার সেই অতি বিক্রমশালী হাতিটি এখন আমার শত্রুদের হাতে। তাকে কি ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া দিচ্ছে ? এতদিন যারা আমার দ্বারা প্রতিপালিত ও আমার প্রতি অনুগত ছিল, এখন নিশ্চয় তারা নতুন রাজার অনুগত হয়েছে। আমি মিতব্যয়ী হয়ে যে অর্থ সঞ্চয় করেছিলাম, সেগুলো নিশ্চয়ই অপব্যয় করছে। 

এই রকম নানান চিন্তা করতে করতে একদিন আশ্রমে এক বৈশ্যকে অর্থাৎ ব্যবসায়ীকে দেখতে পেলেন। সুরথ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কে ? আর এখানে আপনার কিসের ব্যবসা হতে পারে যে আপনি এখানে এসেছেন ? আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে, আপনি শোকাচ্ছন্ন, দুশ্চিন্তাগ্রস্থ। কি হয়েছে আপনার ? কেন আপনি শোকাচ্ছন্ন ? কিসের দুশ্চিন্তা আপনার ?

তো বৈশ্য-সমাধি  সুরথের  কাছ থেকে সহানুভূতির বাণী শুনে, রাজাকে বললেন, আমার নাম সমাধি - ধনীকুলে আমার জন্ম। আমার সম্পত্তির লোভে, আমার স্ত্রী-পুত্র আমাকে বিতাড়িত করেছে। আমি ধনহীন হওয়ায়, এমনকী আমার বন্ধুরাও আমাকে ত্যাগ করেছে। তাই বড়ো দুঃখে আজ আমি এই জঙ্গলে উপস্থিত হয়েছি। কিন্তু এই মেধাশ্রমে এসে আমি আমার আত্মীয়স্বজনের ভালো মন্দের কিছুই জানতে পারছি না। তারা সবাই ভালো আছে কি না। তারা সবাই সৎকাজে না অসৎকাজে প্রবৃত্ত তা জানতে না পেরে, আমি উৎকন্ঠায় আছি।

সুরথ বললেন, আপনি যাদের দ্বারা বিতাড়িত হয়েছেন, বিষয়লোলুপ সেই স্ত্রী-পুত্রদের প্রতি আপনি এখনো স্নেহানুরক্ত ! 

বৈশ্য বললেন, ঠিকই বলেছেন, যাদের দ্বারা আমি বিতাড়িত, তাদের মঙ্গল-অমঙ্গল আমাকে ব্যাকুল করে।  কি করবো, আমার মন কিছুতেই তাদের প্রতি নিষ্ঠূর  হতে পারছে না।  সেই ধনলুব্ধ স্ত্রী-পুত্র আত্মীয়স্বজন যাদেরকে আমি পিতার স্নেহ দিয়েছি, পতিপ্রেম  দিয়েছি। স্বজনপ্রীতি দিয়েছি, তারা সবাই আমাকে বিতাড়িত করেছে, তাদের প্রতি আমার মন এখনো অনুরক্ত। জানিনা এর কি কারন। আমি এখনো না পারছি, তাদের ভুলতে, না পারছি তাদের প্রতি বিরক্ত হতে। 

এই অবস্থায়, রাজা সুরথ ও বৈশ্য সমাধি মহামুনি মেধসের কাছে তাদের প্রশ্ন উত্থাপন করলেন।

রাজা সুরথ বললেন,  হে মুনিবর, আমি আমার  মনকে বশ করতে পারছি না। আমার  কষ্ট  হচ্ছে। পরিত্যাক্ত সেই রাজ্য, আত্মীয়স্বজন, অমাত্যবর্গ সকলের প্রতি আমার  কেন এত মমতা ? আমি  জানি এরা আমাকে  কেউ চায়নি, আমাদের বিষয়-সম্পত্তি ছিল তাদের কাছে আদরের, কেউ নয় আপনার , তথাপি আমি  কেন এত আসক্ত, সেই সব দুরাচারদের প্রতি  ? কেন এমন হয় ? আমি  তো সৎ-অসৎ বিচার করতে পারি। ভালো মন্দ বুঝি। তথাপি আমার্  এই মূঢ়তা কেন ? শুধু আমি নয়, এই বৈশ্য-সমাধিও একই অবস্থায় আছে। তার স্ত্রী-পুত্র ধনের লোভে তাকে বিতাড়িত করেছে।  তথাপি সে তাদের ভুলতে পারছে না। তাদের মঙ্গল-অমঙ্গল চিন্তা তাকে বিমোহিত করে রেখেছে। সারাক্ষন তাদের সংবাদ প্রত্যাশায় উদগ্রীব। এমনকি দুশ্চিন্তাগ্রস্থহয়ে আছেন। কিন্তু কেন ? যদি দেয়া করে এ সম্পর্কে কিছু বলেন।   

মুনিবর মেধস বললেন : হে মহাভাগ, ঠিকই বলেছেন, সমস্ত প্রানীরই জ্ঞান আছে। কিন্তু এই জ্ঞান কেবলমাত্র বিষয়গোচরে হয়ে থাকে। এমনকি একই বিষয় বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে পৃথক পৃথক ভাবের বা জ্ঞানের উদ্রেক করে। কেউ রাতকানা কেউ আবার দিনকানা, কেউ আবার দিনরাত উভয় কানা। পশুপাখির যেমন জ্ঞান আছে, মানুষেরও তেমনি জ্ঞান আছে। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে সমস্ত জীবই এক। সবাই নিজেকে ভালোবাসে। কিন্তু মোহের বসে যেমন মানুষ তেমনি  পশু তার সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেয়, নিজে না খেয়ে। মানুষ শুধু স্নেহবশতঃ সন্তানপালন করে না, সে একটা প্রত্যাশা নিয়ে সন্তান পালন করে। বাস্তবিক, আমরা সবাই আমাদেরকেই সবথেকে বেশি ভালোবাসি। তৎসত্ত্বেও সংসারে থাকাকালীন, মহামায়ার প্রভাবে মমতারূপ আবর্তে নিজেদেরকে মোহগ্রস্থ করে রেখেছি। আর সত্যকথা বলতে কি মহামায়া স্বয়ং শ্রীহরিকে যোগনিদ্রায় শায়িত করে রেখেছেন। এই জীবজগৎকেও মহামায়া মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছেন। অতয়েব হে রাজন, এতে বিস্ময়ের কিছু নেই।

এই দেবী ভগবতী, মহামায়া মহাত্মা জ্ঞানীগণের চিত্তকেও বলপূর্বক আকর্ষণ ক'রে, বিষয়-বিমুগ্ধ্ ক'রে রাখেন। এই জগতের সমস্ত নিত্যপরিবর্তনশীল বস্তু তা সে স্থাবর বা যোনীজাত যাই হোক না কেন, তার দ্বারাই সৃষ্ট। মহামায়া প্রসন্ন হলে, তার বরেই  মানুষ মুক্তিলাভের যোগ্য হয়। তিনিই বিদ্যা, তিনিই অবিদ্যা, তিনিই পরমা প্রকৃতি, তিনিই বন্ধন , তিনিই মুক্তি।  তিনি ঈশ্বরেরও ঈশ্বরী।

রাজা বললেন, হে ভগবন, আপনি যাকে  দেবী মহামায়া বলছেন, তিনি আসলে কে, তাঁর উৎপত্তির কারন কি ? তাঁর কাজ, তাঁর স্বভাব, তাঁর স্বরূপ, এ সম্পর্কে যদি বিস্তারিত বলেন। তিনি কিসের থেকেই বা উদ্ভূত হন ?

ঋষি মেধস এই সব প্রশ্নের জবাবে কি বলেছিলেন, সেসব কথা আমরা শুনবো। কিন্তু আজ আর নয়। 
ওম শান্তি শান্তি শান্তিঃ।  হরি ওম। 

    

No comments:

Post a Comment