Saturday 29 February 2020

সাধনা - ৭ - কঠোপনিষদ - স্বর্গ লাভের উপায়/ জপ সাধনা


সাধনা - ৭ আধ্যাত্মিক জীবনের পথে - স্বর্গ লাভের উপায়। তথ্যসূত্রঃ শিবসংহিতা, হঠযোগ প্রদীপিকা, কঠোপনিষদ 
স্বর্গ লাভের উপায়।
আমরা কঠোপনিষদ সন্মন্ধে শুনেছি। সেখানে নচিকেতা ও যমরাজের মধ্যে কিছু উচ্চ স্তরের কথোপথন আছে। প্রশ্ন করছিলেন, নচিকেতা আর উত্তর দিচ্ছিলেন যমরাজ। তো নচিকেতা তখন একটা প্রশ্ন করেছিলেন, আর তা হচ্ছে, হে মৃত্যুর রাজা, স্বর্গলাভের উপায় যে অগ্নিবিদ্যা আছে, তা আমাকে সবিস্তারে বলুন। আমি শুনেছি, মৃত্যুর পরে যারা স্বর্গলোকে যান, তারা অমৃতত্ব লাভ করে থাকেন।  আমাকে এই অগ্নিবিদ্যা দান করুন।

যমরাজ বলছেন : অমরত্ব লাভের পথ হলো এই অগ্নি। অগ্নিই জগতের আশ্রয়। আর এই অগ্নি থাকে জ্ঞানী ব্যক্তির মনের গভীরে প্রচ্ছন্ন অবস্থায়।
আমরা এই স্বর্গলাভের উপায়টি একটু ভালোভাবে বুঝবার চেষ্টা করবো। প্রথমত স্বর্গ ব্যাপারটা কি ? আর এর অবস্থান কোথায় ? সেটা একটু শুনে নেই। স্বর্গ হচ্ছে একটা লোক বা জগৎ। যেখানে আনন্দই আনন্দ। আনন্দ বই কিছু নেই। আর এই স্বর্গলোক আমাদের এই পার্থিব জগতের মতোই একটা স্থান। আর সেখানকার বাসিন্দারা হচ্ছেন দেবতাগণ। যারা অসীম পুন্য করে, এখানকার বাসিন্দা হবার অধিকারী হয়েছেন। যারা ভোগ বিলাসে নিমগ্ন। আর এই অদ্ভুত স্থানটি নাকি পৃথিবী সংলগ্ন। স্বর্গপ্রাপ্তির আর একটা অর্থ আমরা জানি, সেটা হচ্ছে মৃত্যুবরণ। কিন্তু মৃত্যু হলেই সবাই আমরা স্বর্গে যেতে পারি না। তো আমরা কিভাবে এই স্বর্গলাভ করবো, বা আনন্দধামে যাবো, সেসব কথা আমরা শুনবো।  

আসলে আমরা সবাই অর্থাৎ  এই জীবজগৎ পৃথিবী সংলগ্ন  হয়েই আছে। কিন্তু এর মধ্যেও আমরা আসলে একেকজন এক-এক জগতের বাসিন্দা। আমাদের প্রত্যেকের একটা নিজস্ব জগৎ আছে। ঘর সংসার মাতা-পিতা,  ছেলে-মেয়ে,  বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন, ইত্যাদি নিয়ে একটা জগতে আমরা বাস করি। আবার আমাদের একটা কর্ম্ম জগৎ আছে, যেখানে আমরা আমাদের সহকর্ম্মী, আমাদের অফিসের বস, আমাদের গ্রাহক ইত্যাদি নিয়ে একটা জগৎ আছে। আবার আমাদের প্রত্যেকের একটা নিজস্ব মনো জগৎ আছে। যেখানে এদের সবাইকে নিয়ে "আমি" অবস্থান করে। প্রথম দুটি অর্থাৎ সংসার ও কর্ম্ম জগতের  প্রভাব আমার এই মনোজগতকে প্রভাবিত করে, আমরা ভালো থাকি বা খারাপ থাকি। স্থুল শরীরে যেমন আমরা শারীরিক সুখ-দুঃখ ভোগ করি, তেমনি এই মনোজগতের মধ্যে দুটো অবস্থা হয়, একটা খারাপ অবস্থা আর একটা ভালো অবস্থা। এই ভালো অবস্থাকে বলে স্বর্গ আর খারাপ অবস্থাকে বলে নরক। এখন কথা হচ্ছে, তাহলে একথা কেন বলা হয়, যে মৃত্যুর পরে আমার স্বর্গ অথবা নরকে অবস্থান হবে ? আসলে আমাদের তথাকথিত যে মৃত্যু তা হচ্ছে আমাদের স্থুল দেহের মৃত্যু। আমাদের যে সূক্ষ্ম দেহ আছে, তার কিন্তু সহজে মৃত্যু হয় না। এছাড়া আমরা যখন জাগ্রত অবস্থায় থাকি, তখন এই স্থুল দেহে অবস্থান করি, কিন্তু যখন আমার নিদ্রিত থাকি, তখন আমার এই মানসিক দেহে অবস্থান করি। এই অবস্থাতেও আমরা  মানসিক সুখ-দুঃখ অনুভব করি।
আমরা যখন স্থুল শরীর ধারণ করি, তখন কতকগুলো বহির্মুখী ইন্দ্রিয়শক্তি নিয়ে জন্ম গ্রহণ করি। আর এই বহির্মুখী ইন্দ্রিয়শক্তিএবং আত্মশক্তির মধ্যে সংযোগকারী হিসেবে কাজ করে মন।  আমাদের মন যখন ইন্দ্রিয়শক্তির কার্যপ্রণালীতে লিপ্ত থাকে তখন আমরা বহির্মুখী হই । আবার এই মন যখন অন্তর্মুখী হয়, অর্থাৎ আত্মশক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়, তখন আমরা আধ্যাত্মিক হই। ইন্দ্রিয়গুলো বাহ্যজগতের স্থূল বস্তু অনুভব করতে পারে। এই ইন্দ্রিয়গুলোকে নিষ্ক্রিয় ক'রে, মনও যখন নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকে তখন আমাদের সুসুপ্তির অবস্থা হয়। অর্থাৎ মন এবং ইন্দ্রিয় সবই তখন কোনো কাজ করে না। মন আত্মার শক্তিতে শক্তিমান, কিন্তু ইন্দ্রিয়শক্তিতে ক্রিয়াশীল। ইন্দ্রিয়ের প্রভু হচ্ছে মন।  আর মনের প্রভু হচ্ছে আত্মা। জীবাত্মা ও পরম-আত্মা এক ও অভিন্ন। পঞ্চকোষের জালে আবদ্ধ আত্মাকে বলে জীবাত্মা, আর পরম-আত্মা সদা সর্বদা উন্মুক্ত।

সাধক প্রাণশক্তির মধ্যে আত্মাকে দর্শন করতে পারেন। কেননা প্রাণের মধ্যেই চেতনশক্তি বিদ্যমান। এই প্রাণের সাহায্যেই জীবের শরীরে চেতন  শক্তি ঘোরাফেরা করেন। প্রাণ হচ্ছে বাহক, চেতন হচ্ছেন, আরোহী। এই চেতন শক্তি তার বাহনে চেপে অর্থাৎ প্রাণশক্তিতে ভর করে, আমাদের হৃদয়গুহাতে অবস্থান করেন। তাই প্রাণের নিষ্ক্রমনে আমরা চেতনাহীন বা মৃত হয়ে যাই।
বেদবাদীগণ যজ্ঞের অগ্নি প্রজ্বলিত করে, ব্রহ্মের  সাধনা করেন। আর যোগীগণ হৃদয়ে অগ্নি প্রজ্বলিত করে, ব্রহ্মের ধ্যানে মগ্ন থাকেন। এই হৃদয়ে অগ্নি কিভাবে জ্বলানো হয় ?
আমরা জানি আমাদের দেহে আছে নটি দ্বার, দুটো চোখ, দুটো কান, দুটো নাকের ছিদ্র, মুখ, পায়ু (গুহ্যদ্বার), উপস্থ (জনন-ইন্দ্রিয়) । এছাড়া আরো দুটো ছিদ্র আছে নাভি ও ব্রহ্মরন্ধ্র। আমরা এও জানি, আত্মা বা চেতন শক্তি বায়ুর সাহায্যে আমাদের এই স্থুল দেহে প্রবেশ করেন। বায়ু আমাদের শরীরে তার গুন্শক্তি ও কর্ম্মক্ষেত্ৰ অনুসারে আমাদের দেহের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে  প্রাণবায়ু উর্দ্ধগতি সম্পন্ন হয়, আর অপান  বায়ু নিম্নগতি সম্পন্ন হয়। অপান  বায়ুর কর্মস্থল  নাভি থেকে নিচের দিকে। আর প্রাণ বায়ুর কর্মস্থল হৃদয় থেকে উপরে দিকে।
বায়ুর যেমন কোনো রূপ নেই, অগ্নির কোনো রূপ নেই, যেমন পাত্র বা যেমন দাহ্যবস্তু সেইমতো বায়ু বা অগ্নি রূপ ধারণ করে থাকে । আর বায়ুকে অগ্নি সর্বদা উর্ধমুখে পরিচালিত করে। অর্থাৎ বায়ু যখন অগ্নির স্পর্শে আসে, তখন বায়ু শুদ্ধ, সূক্ষ্ম ও উর্দ্ধমুখী হয়।  
মানুষের হৃদযন্ত্রের সঙ্গে অসংখ্য ধমনী যুক্ত। এদের একটা ব্রহ্মরন্ধ্র পর্যন্ত বিস্তৃত। ব্রহ্ম রন্ধ্র হচ্ছে সুষুম্না নাড়ীর ছিদ্রপথ।  জীবাত্মা যখন এই পথে বেরিয়ে আসে, তখন  মানুষ অমরত্ত্ব লাভ করে।
আরো একটু পরিষ্কার করে ব্যাপারটা বুঝে নেই। আমাদের শরীরে সাড়ে তিনলক্ষ নাড়ী বিদ্যমান। এদের মধ্যে চোদ্দটা নাড়ী প্রধান।  সুষুম্না, ইড়া, পিঙ্গলা, গান্ধারী, হস্তিজীহ্বা, কুহু, সরস্বতী, পূষা, শঙ্খিনী, পয়স্বিনী, বারনী, অলম্বুষা, বিশ্বদরী, যশস্বিনী। এর মধ্যে আবার তিনটি নাড়ী প্রধান, ইড়া - পিঙ্গলা -সুষুম্না। এই তিনটি নাড়ীর মধ্যে আবার সুষুম্না প্রধান। যোগ সাধনের জন্য এই সুষুম্না নাড়ীকে আমাদের আশ্রয় করতে হয়। ইড়া নাড়ীকে চন্দ্র নাড়ী বলা হয়। পিঙ্গলাকে সূর্য নাড়ী, আর সুষুম্নাকে অগ্নি নাড়ী বলা হয়। 
আবার এই সুষুম্না নাড়ীর মধ্যে আছে বজ্রাক্ষা নাড়ী।  বজ্রাক্ষা নাড়ীর মধ্যে আছে চিত্রাণি নাড়ী।  এই চিত্রাণি নাড়ীর মধ্যে সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর একটা ছিদ্রপথ আছে। তাকে বলে ব্রহ্মরন্ধ্র। আমাদের কুলকুণ্ডলিনী শক্তি মূলাধার থেকে সহস্রারে গমন করেন এই ব্রহ্মপথ দিয়ে। এবং সেখানে অর্থাৎ সহস্রারে গিয়ে  পরম-ব্রহ্মের সঙ্গে মিলিত হন। এই ব্রহ্মপথকে কেউ বলেন, ব্রহ্মবিবর, কেউ বলেন ব্রহ্মরন্ধ্র। 
সূর্য্যমন্ডলের মধ্যে দ্বাদশ কলা রশ্মি আছে। এই রশ্মিদের  সঙ্গে মিলিত হয়ে নাভির অধোদেশে প্রজ্বলিত অগ্নি আমাদের খাদ্যকে জীর্ন করে থাকে। এই অগ্নিকে যোগের ভাষায় বলা বৈশ্বানর অগ্নি। সূর্য বা রুদ্রদেবের তেজ থেকেই এই অগ্নির উদ্ভব। যোগী এই বৈশ্বানর অগ্নিকে কুম্ভকের সাহায্যে প্রজ্বলিত রেখে বায়ুকে উত্তপ্ত করেন। বায়ু তখন কুল-কুণ্ডলিনী শক্তিকে নিয়ে   ব্রহ্মবিবরে প্রবেশ করেন ও সহজেই পরম-ব্রহ্মের সঙ্গে মিলিত হন। এটাকেই বলে স্বর্গপ্রাপ্তি। এটাকেই বলে স্বর্গলাভ। এই অবস্থায় আমাদের বাহ্যজ্ঞান লোপ পায়। আমরা জ্ঞানাতীত ব্রহ্মে অবস্থান করি। তাই কঠোপনিষদ -এর আচার্য্য যমরাজ্  নচিকেতাকে   বলছেন, অমরত্ব লাভের পথ হলো এই অগ্নি। অগ্নিই জগতের আশ্রয়। আর এই অগ্নি থাকে জ্ঞানী ব্যক্তির মনের গভীরে প্রচ্ছন্ন অবস্থায়। এই অবস্থায় আমাদের স্ব-রূপের উপলব্ধি হয়। আমরা যে অমর  আত্মা, এই স্থূল দেহ বা মন বা জ্ঞান নোই , সেই বোধে স্থিত হই। তখন আমি বলে কিছু থাকে না। এটাকেই বলে স্বর্গলাভ। 
তবে একটা কথা আমরা বার বার বলে থাকি, এই কুম্ভকের ক্রিয়া গুরুমুখে শুনে, গুরুসান্নিধ্যে থেকে আয়ত্ত্ব করতে হয়। বই পড়ে বা আমাদের এই কথা শুনে কুম্ভকের ক্রিয়া করতে যাবেন না। আমাদের এই প্রয়াস, ভারতের মুনি-ঋষিদের সাধন-পদ্ধতির সম্পর্কে সাধারণের আগ্রহ সৃষ্টি করা মাত্র। তার বেশি কথা কিছু নয়।  
ওম শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।  হরি ওম। 

সাধনা - পর্ব্ব - ৮ : জপ-কুণ্ডলিনী জাগরণের একটি নিরাপদ উপায়।

জপ সাধনা 
তথ্যসূত্রঃ - তত্ত্বজ্ঞান সাধনা - মহাত্মা গুরুনাথ সেনগুপ্ত
আমাদের ছোটবেলায়, ভূতের হাত  থেকে নিষ্কৃতি পাবার জন্য, রাম  নাম জপ্ করতাম ।   সেই  রাম  নাম জপ করে, আমরা ভূতের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতাম কি না জানিনা, তবে ভূতের ভয় থেকে নিষ্কৃতি পেতাম।
আজও আমাদের কেউ গালাগালি দিলে আমাদের রাগ হয়। কেউ প্রসংশা করলে, আমাদের ভালো লাগে। ভিড়ের মধ্যে আমার নাম ধরে কেউ ডাকলে, আমার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। এমনকি আমি যখন ঘুমিয়ে থাকি, তখন কেউ আমার নাম ধরে ডাকলে, আমি সজাগ হয়ে উঠি। অর্থাৎ নামের সঙ্গে আমাদের স্বরূপের অনুভূতির একটা সম্পর্ক আছে। অর্থাৎ নাম একটা প্রতীক, যা আমাকে জাগিয়ে তোলে, বা আমার অনুভূতিকে জাগিয়ে তোলে। 
সমস্ত ধর্ম্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যেই এই নাম-জপের একটা গুরুত্ত্ব দেওয়া হয়েছে। উপনিষদে ঈশ্বর-এর নাম রাখা হয়েছে ওঁ। পতঞ্জলি যোগসূত্রে ওঁ-কে ঈশ্বরের প্রতীক বলা হয়েছে। 
এছাড়া ঈশ্বরের গুন্ বর্ণনা ক'রে, বা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা ক'রে কিছু সংক্ষিপ্ত শব্দ বা বাক্য আমাদের ঋষি-মুনিরা রচনা করে গেছেন। এগুলোকে বলা হয় মন্ত্র। যেমন গায়েত্রী মন্ত্র, মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র, গনেশ মন্ত্র, বিষ্ণুমন্ত্র, শিব মন্ত্র, সূর্য মন্ত্র ইত্যাদি ইত্যাদি। ইসলামে আল্লাহ বা আলি মন্ত্র জপের নির্দেশ আছে।  খ্ৰীষ্ট ধর্ম্মে যীশুর পুন্য নাম নিরন্তর জপের কথা বলা হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্ম্মে "নমু অমিদা বুৎসু" (জাপানী)
জপের নির্দেশ আছে। অর্থাৎ জপকে সবাই গুরুত্ত্ব দিয়েছে। 

হিন্দুদের মধ্যে তা সে শৈব বলুন, বৈষ্ণব বলুন শাক্ত বলুন সবাই কোনো না কোনো ভাবে জপের গুরুত্ত স্বীকার করেছেন। এমনকি এখনকার রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম, বা অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠন সবারই জপের প্রতি নিষ্ঠা আছে।

জপ ধাতুর অর্থ হৃদয়ে স্মরণ। আর হৃদয়ে কাকে স্মরণ করা হয় ? না ঈশ্বরকে বা ঈশ্বরের গুন্গুলোকে। অনেক সময় ঈশ্বরের স্তুতি বা প্রার্থনাও করা হয়ে থাকে এই জপের মাধ্যমে। এই জপ তিনভাবে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। বাচিক, মৃদু, ও মানস জপ। অর্থাৎ যে জপ শ্রবণযোগ্য তাকে বাচিক জপ, যে জপ মনে মনে উচ্চারণ করা হয়ে কিন্তু  কেবলমাত্র ওষ্ঠ কম্পিত হতে থাকে,  তাকে মৃদু বা উপাংশু  জপ বলা হয়ে থাকে। সবশেষে মানসজপ যা কেবলমাত্র মনে মনে উচ্চারিত হয়ে থাকে। বাইরে থেকে কিছুই বুঝবার উপায় থাকে না। জপ আবার কেউ সংখ্যা গুনে রাখেন।  আবার কেউ সংখ্যা গোনেন না। কেউ আবার মালার সাহায্যে গুনে রাখেন, কেউ আবার হাতের আঙুলে গুনে রাখেন। সব ধরনের জপই ভালো, তবে প্রথমদিকে বাচিক, তারপরে মৃদু, এবং শেষে মানস জপ সাধনের নির্দেশ দিয়ে থাকে মহাত্মাগণ। কিন্তু আমরা লক্ষ করেছি, আপনি যদি বাচিক জপ দিয়ে শুরু করে, এবং শরীর ক্লান্ত  হয়ে গেলে মৃদু বা উপাংশু, এবং জপের গভীরতা বৃদ্ধি পেলে মানস জপ করতে পারলে ভালো ফল প্রদান করে থাকে।  এমনকি আমাদের মানস জপ তখন স্বতঃস্ফূর্ততা  প্রাপ্তি পায়। 

             




































     

No comments:

Post a Comment