Monday, 23 July 2018

: সাফল্যের গোপন কথা :



বিবেকানন্দ বলতেন : তুমি যা চিন্তা করছো তুমি তাই হয়ে যাবে। তুমি কি চাও সেটা বড়ো কথা নয়, তুমি কি ভাবছো সেটা বড়ো কথা। জীবনে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলতে হয়। যাকে  বলে ভগবানের আইন।  বিধির বিধান।  বা কুদরত কি কানুন। আমাদের শরীর আকর্ষণের  কেন্দ্র বিন্দু মাত্র। এখানে পঞ্চভূত আকৃষ্ট হয়ে খেলা করছে। পৃথিবীর আকর্ষনে আমরা পৃথিবীবাসী হয়ে আছি।

১. যা চান, তাই ভাবুন
২. যা হোতে চান তাই ভাবুন
৩. যা চান না তা ভাবতে যাবেন না। 
৪. যা হতে চান না তা ভাবতে যাবেন না। 
৫. আমাদের ভাবনা অবিরত চলছে - শুধু আপনি আপনার ভাবনাকে সদর্থক করুন। 
৬. ঘুমিয়ে পড়ার আগে আপনার মূল্যবান ভাবনাকে টেনে আনুন।
৭. সকালে ঘুম থেকে উঠেই ভগবানকে স্মরণ  করুন।  তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানান, আরো একটা সুন্দর দিন আপনাকে উপহার দিয়েছেন।   

ঈশ্বরের আইন :

১. মহাবিশ্বের উৎপত্তির কারন  আকর্ষণ ও বিকর্ষণ। এটা আপনি বিশ্বাস করুন আর না করুন। আপনি বুঝুন আর না বুঝুন। আকর্ষণ ও বিকর্ষণ এর নিয়ম নিজের মতো কাজ করে চলেছে। আমি বলবো আপনাকে বুঝতে হবে না আপনি শুধু মেনে নিন।  আর যদি বুঝতে চান তবে কোয়ান্টাম ফিজিক্স পড়ুন আর বুঝে নিন। 

২. যে কোনো বস্তূ আসলে অসংখ্য বস্তুকণার সমষ্টি মাত্র। আকর্ষণ বিকর্ষণের চিরকালীন নিয়মের ফলেই বস্তূর সমষ্টিগত অবস্থা আমরা  চাক্ষুস করতে পারছি। এগুলো  বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে আমাদের চোখে ধরা পড়বে  না। আমরা ভাববো নেই।  আসলে আছে। 

৩. ঈশ্বরের  ভাবনা, এগুলোকে একবার জোড়া লাগাচ্ছে, আবার ভেঙে দিচ্ছে। ঈশ্বরের এই ভাবনা শক্তির একটা ক্ষুদ্রতম অংশ আছে আমাদের সবার মধ্যে। আমরা এই ভাবনার সাহায্যে আকর্ষণ-বিকর্ষণের মহাশক্তিকে কাজে লাগাতে পারি।  এটিও আপনি বিশ্বাস করুন আর না করুন তাতে কিছু এসে যায় না। বৃহৎ শক্তি বা পরম-ঈশ্বরের নিয়ম কারুর ধার ধারে না। 

৪. আমি আজ যেখানে আছি তা আমার পূর্ব ভাবনার ফল। আজ যা ভাবছি তা আমার ভবিষ্যৎ। আপনার আজকের ভাবনা আপনার ভবিষ্যতের  বীজ। যা আপনার ভবিষ্যৎ জীবন। 

৫. ভাবনাকে নিয়ন্ত্রিত করুন। কি ভাবছেন সেটা খেয়াল করুন। আর আপনি যা হতে চান সেই মতো ভাবুন। যা হতে চান না তা ভাববেন না। 

৬. মহাশক্তি বিষয় বোঝে।  না এবং হ্যাঁ এর পার্থক্য বোঝে না। তাই সঠিক ভাবে ভাবুন। ঈশ্বরের ভাষায় ভাবুন। যেমন :

সঠিক ভাবনা : আমি সাহসী হতে চাই। 
ভুল ভাবনা : আমি ভয় পেতে চাই না। 

আপনি যখনই বলছেন আমি ভয় পেতে চাই না। অমনি ভয় আপনাকে পেয়ে বসবে। কিন্তু আপনি যদি ভাবেন আমি সাহসী হতে চাই, তখন আপনাকে সাহসী করে তুলবে ঈশ্বর।  এটাই বিধির বিধান। 

আপনি যখনি ভাববেন আমি গরিব হতে চাই না।  তখনই আপনি গরিব হয়ে যাবেন ।  আর যদি ভাবেন আমি বড়লোক হতে চাই।  তখন আপনি বড়লোক হয়ে যাবেন। এটাই কুদরথ কী  কানুন।  

৭. ভগবানের ভাণ্ডারে অসীম সম্পদ।  আমরা চাই না তাই পাই না। আমরা খালি আমাদের অভাবের কথা ভাবি। তাই আমরা অভাবী হয়ে যাই। ঈশ্বরের কাছে অঢেল আছে, তিনি হাত খুলে বাড়িয়ে  আছেন আমাদের দেবার জন্য। আমরা চাইতে জানি না। আমরা ভাবি, আমাদের যোগ্যতা নেই। আমরা কি করে পাবো ? ঈশ্বর যোগ্যতা দেখেন না। তিনি আকুলতা দেখেন। যে চায় সেই পায়। শুধু চাইতে জানতে হবে। 

৮. কখন পাবেন ? ভগবানের কাছে একটা মানদণ্ড আছে, তা দিয়ে আপনার বিশ্বাস, আপনার ব্যাকুলতা, আপনার নির্ভরতা মাপেন।  সেটি যখন একটা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তখনি ঈশ্বর আপনাকে ভরিয়ে দেন। এই মুহূর্তেই আপনি সব পেতে পারেন, যদি আপনার নির্ভরতায় কোনো খাদ না থাকে।

৯. এর কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমান আছে কি ? কি নিয়ে এসেছিলেন আপনি ? সবই  তো এখান থেকে পেয়েছেন। আনন্দ এখানে  পেয়েছেন।  দুঃখ এখানে পেয়েছেন। মানুষ  কিছুই তৈরি করতে পারে না।  রূপান্তরিত করতে পারে মাত্র। পঞ্চভূতে সংসার। আর আমরা এই পঞ্চভূতের দ্বারাই রূপান্তর করছি মাত্র।  মানুষ, পুতুল  তৈরি করে।  মাটি তো ভগবানের। 
দেহটা কি আপনি বানিয়েছেন ? ভগবানের খেলার পুতুল আপনি। এই আকাশ, এই বাতাস, এই জল, এই মাটি, এই সূর্য  সবই তো ভগবানের।  আমরা বেঁচে আছি এদেরই দয়ায়।  

১০. ভগবান আপনাকে ভীষণ ভালো বাসে। আপনাকে জন্ম দেবার আগেই সব তৈরি করে রেখেছেন, আপনার জন্য। আপনার কাজ শুধু ভগবানকে ধন্যবান দেওয়া। ভগবানের  উপরে নির্ভর করা। 

ওঁং শান্তি শান্তি শান্তিঃ । 
ওঁং তৎ সৎ  ।।
     
  
  
  
      
    

No comments:

Post a Comment