ঈশ্বর উপাসনার জন্য ঈশ্বরকে জানা জরুরী কি ?
প্রশ্ন উঠেছিল : গুরুদেব তো জগদীশ্বরের উপাসনার কথা বলছেন। কিন্তু যাকে জানি না, চিনি না, এমন কি যার অস্তিত্ব সম্পর্কে আমার কোনো সম্যক ধারণা নেই তার উপাসনা কি করে হবে ? যাকে চিনিনা, সে যদি আমার সামনে এসে হাজিরও হয়, তাহলেও তাকে আমি চিনতে পারবো না। তাহলে এই উপাসনার অর্থ কি ? উপাসনা কি নিতান্ত বিনোদন ?
জবাব এসেছিলো অন্তর থেকে :
আগে ঈশ্বর, না আগে সাধনা - এটা বুঝতে হবে। তর্কে পাওয়া যাবে না বাস্তবতা বুঝতে হবে। আমি সাঁতার শিখতে চাই, তো জলে নাবতে হবে। আমি যদি বলি যতক্ষন সাঁতার না শিখছি, ততক্ষন জলে নাব্বো না। তাহলে সাঁতার শেখা যাবে ? সাঁতার না শিখে যেমন জলে নাবা উচিত নয়। যুক্তির দিক থেকে এটা ঠিক। আবার জলে না নাবলে সাঁতার শেখা যাবে না। এটাও ঠিক।
সাইকেল চড়া শিখে তবে সাইকেলে চাব্বো। যুক্তির দিক থেকে এটা ঠিক। কিন্তু সাইকেলে না চড়ে, সাইকেল চড়া শেখা যায় না।
তেমনি জগদীশ্বরকে জেনে, চিনে, তবে তার উপাসনা করবো। তবে তোমার কোনোদিন উপাসনা করা হবে না। হ্যাঁ সাঁতার শেখার আগে গভীর জলে যেও না, তেমনি উপাসনার আগে জগদীশ্বর সম্পর্কে একটা ধারণা বা বিশ্বাস থাকলে ভালো হয়।
ঈশ্বরকে আসলে কেউ চিনিয়ে দেয় না, দিতে পারে না । ঈশ্বর এগিয়ে আসেন তাই আমরা তাকে চিনি, জানি, উপলব্ধি করি, অনুভব করি। আমার দরকার আকুলতা, ব্যাকুলতা, আগ্রহ। সদ্যজাত সন্তান ক্ষুধা পেলে কান্না করে, মা তার স্তন এগিয়ে দেয়, মুখের কাছে স্তনের বোটা ধরে, সন্তান সংস্কার বশে হা করে, স্তন থেকে দুধ চুষে চুষে তৃপ্তি পায়, চাহিদা পূরণ করে, ক্ষুধা মেটায়। আগে থেকে তাকে জানতে হয় না, দুধ কোথায় থাকে, দুধ কেমন দেখতে , কি তার গুন্ ? সে শুধু কান্না করে, ব্যাকুলতা প্রকাশ করে। মা কান্না শুনে ছুটে আসে, দুধ এগিয়ে দেয়। সন্তান পরম সুখে পান করে।
ঈশ্বর কে পাবার জন্য ঈশ্বরকে জানার দরকার নেই। কোনো জ্ঞান তোমাকে ঈশ্বর অনুভূতি দেবে না,
তোমার আগ্রহ, তোমার ব্যাকুলতা, তোমার গভীর বিশ্বাস তোমাকে ঈশ্বরের কাছে নিয়ে যাবে, বা ঈশ্বর তোমার কাছে ধরা দেবে।
প্রশ্ন উঠেছিল : গুরুদেব তো জগদীশ্বরের উপাসনার কথা বলছেন। কিন্তু যাকে জানি না, চিনি না, এমন কি যার অস্তিত্ব সম্পর্কে আমার কোনো সম্যক ধারণা নেই তার উপাসনা কি করে হবে ? যাকে চিনিনা, সে যদি আমার সামনে এসে হাজিরও হয়, তাহলেও তাকে আমি চিনতে পারবো না। তাহলে এই উপাসনার অর্থ কি ? উপাসনা কি নিতান্ত বিনোদন ?
জবাব এসেছিলো অন্তর থেকে :
আগে ঈশ্বর, না আগে সাধনা - এটা বুঝতে হবে। তর্কে পাওয়া যাবে না বাস্তবতা বুঝতে হবে। আমি সাঁতার শিখতে চাই, তো জলে নাবতে হবে। আমি যদি বলি যতক্ষন সাঁতার না শিখছি, ততক্ষন জলে নাব্বো না। তাহলে সাঁতার শেখা যাবে ? সাঁতার না শিখে যেমন জলে নাবা উচিত নয়। যুক্তির দিক থেকে এটা ঠিক। আবার জলে না নাবলে সাঁতার শেখা যাবে না। এটাও ঠিক।
সাইকেল চড়া শিখে তবে সাইকেলে চাব্বো। যুক্তির দিক থেকে এটা ঠিক। কিন্তু সাইকেলে না চড়ে, সাইকেল চড়া শেখা যায় না।
তেমনি জগদীশ্বরকে জেনে, চিনে, তবে তার উপাসনা করবো। তবে তোমার কোনোদিন উপাসনা করা হবে না। হ্যাঁ সাঁতার শেখার আগে গভীর জলে যেও না, তেমনি উপাসনার আগে জগদীশ্বর সম্পর্কে একটা ধারণা বা বিশ্বাস থাকলে ভালো হয়।
ঈশ্বরকে আসলে কেউ চিনিয়ে দেয় না, দিতে পারে না । ঈশ্বর এগিয়ে আসেন তাই আমরা তাকে চিনি, জানি, উপলব্ধি করি, অনুভব করি। আমার দরকার আকুলতা, ব্যাকুলতা, আগ্রহ। সদ্যজাত সন্তান ক্ষুধা পেলে কান্না করে, মা তার স্তন এগিয়ে দেয়, মুখের কাছে স্তনের বোটা ধরে, সন্তান সংস্কার বশে হা করে, স্তন থেকে দুধ চুষে চুষে তৃপ্তি পায়, চাহিদা পূরণ করে, ক্ষুধা মেটায়। আগে থেকে তাকে জানতে হয় না, দুধ কোথায় থাকে, দুধ কেমন দেখতে , কি তার গুন্ ? সে শুধু কান্না করে, ব্যাকুলতা প্রকাশ করে। মা কান্না শুনে ছুটে আসে, দুধ এগিয়ে দেয়। সন্তান পরম সুখে পান করে।
ঈশ্বর কে পাবার জন্য ঈশ্বরকে জানার দরকার নেই। কোনো জ্ঞান তোমাকে ঈশ্বর অনুভূতি দেবে না,
তোমার আগ্রহ, তোমার ব্যাকুলতা, তোমার গভীর বিশ্বাস তোমাকে ঈশ্বরের কাছে নিয়ে যাবে, বা ঈশ্বর তোমার কাছে ধরা দেবে।
No comments:
Post a Comment