Friday 17 April 2020

করোনা নিধন মানস-যজ্ঞ :

করোনা নিধন মানস-যজ্ঞ :

মানুষ যখনই যার কাছ থেকে ভয় পেয়েছে, তখনই তার পুজো শুরু করেছে। যার শক্তিকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, আমরা তার কাছে প্রার্থনা করি, আমাদের ক্ষতি না করবার জন্য । অথবা বিশ্বশক্তির কাছে, প্রার্থনা করি, এই মনুষ্য নিধনকারী অশুভ শক্তিকে বিনাশের জন্য। আমরা সূর্যদেবের পুজো করে থাকি।  আমরা মা-শীতলার পুজো করে থাকি। আজ আমরা করোনা নিধন মানস-যজ্ঞ  করবো, বিশ্ব শক্তির কাছে, প্রার্থনা মন্ত্র  উচ্চারণ করবো, করোনার নিধনের জন্য। আর এই মন্ত্র আমরা উচ্চারণ করবো, আমাদের মুনি-ঋষিদের দেওয়া অথর্ব, যজুঃ  বেদ  থেকে।

খরস্রোতা নদী পার হতে গেলে, আমাদের শারীরিক শক্তি দরকার, সাঁতার বিদ্যা আয়ত্ত্ব করা দরকার, আর দরকার আত্মবিশ্বাস। বাঁশের সাঁকো পেরোতে গেলে নির্ভিক হতে হবে, স্থির চিত্ত হতে হবে। চঞ্চল চিত্তে বাঁশের সাঁকো পেরুনো যায় না।
মনকে শান্ত করবার জন্য, আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য, বিশ্বশক্তির কাছে প্রার্থনা এক আশ্চর্য্য ফল প্রদান করতে পারে। আজ  আমরা তারই চর্চা করবো।

মনে মনে ইট-মাটি দিয়ে একটি যজ্ঞ বেদি নির্মাণ করুন। অথবা পিতলের বা তামার যজ্ঞ পাত্র সংগ্রহ করুন। ডুমুরের ডাল, বা বেল গাছের ডাল   সংগ্রহ করুন, যজ্ঞকাষ্ঠ হিসেবে। ঘি, মধু, চন্দন, কর্পূর, তিল, তুলসী, বেলপাতা, ফুল জল ইত্যাদি   কাছে নিয়ে নিন। সবই কিন্তু মনে মনে।

এবার আচমন করুন। অর্থাৎ মনে মনে হাতের তালুতে খানিকটা গঙ্গা জল নিয়ে ঠোঁট স্পর্শ করুন।
 ওম অমৃতোপস্তরণমসি স্বাহা।
ওম অমৃতাপিধানমসি স্বাহা।
ওম সত্যং যশঃ শ্রীর্ময়ী শ্রয়তাং স্বাহা।
হে অমৃত! তুমি আমার আচ্ছাদন স্বরূপ হও।  হে অমৃত ! তুমি বিচ্ছাদন স্বরূপ হও।  সত্য, যশ এবং ঐশর্য্য  আশ্রয় করুক আমাদেরকে ।

এবার এই মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে শরীরের নির্দিষ্ট অঙ্গে মনে মনে জল স্পর্শ করুন।
মুখে - ওম বাঙমেঅস্যেঽস্তু।
নাসিকায় - ওম নসোর্মে প্রাণঽস্তু।
দুই চোখে -   ওম অক্ষর্মে চক্ষুরস্তু।
দুই কানে - ওম কর্নয়োর্মে শ্রোত্রমস্তু।
দুই বাহুতে - ওম বাহ্বোর্মে বলমস্তু।
দুই উরুতে - ওম উর্ব্বোর্মে ওজঽস্তু।
সর্বাঙ্গে : ওম অরিষ্টানি মেঽঙ্গানি তনুস্তন্বা মে সহ সন্তু।

 এবার শুধু মন্ত্র উচ্চারণ করুন।

ওম ভূঃ ভুবঃ  স্বঃ।
ওম ভূর্ভুবঃ ওম স্বঃ ওম দৌরিব ভুম্না পৃথিবীব  বারিম্ণা ।.
ওম  তস্যান্তে পৃথিবী দেবযজনিপৃষ্ঠে অগ্নিম অন্নাদম অন্নাদ্যায়াদধে।
হে ত্রিলোকেশ্বর, ভূ, ভুব, ও স্বর্গ লোকের অধীশ্বর, তোমাকে প্রণাম। আকাশের মতো ব্যাপক ও জ্যোতিস্মান ভূমির ন্যায় বিস্তৃত তোমার পিঠের উপরে, যেখানে দেবগনের তৃপ্তির জন্য যজ্ঞ হয়, সেই পৃথিবীকে প্রণাম।  অন্নাদি ভস্মিভূত করে যে অগ্নি, সেই  অগ্নিকে আজ আমরা, অন্নাদির জন্যই স্থাপন করছি।
এবার মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে মনে মনে  কর্পুরে অগ্নি সংযোগ করতে হবে।
ওম উদ্বুধ্যস্ব অগ্নে প্রতি জাগৃতি
ত্বম ইষ্টাপুর্তে সং সৃজেথাম অয়ং চ।
অস্মিন্ত সধস্থে অধ্যুত্তর  অস্মিন বিশ্বে দেবা
যজমানশ্চ সীদত।
হে অগ্নি, তুমি জাগ্রত হও, ওঠো।  শ্রৌত ও স্মার্ত কর্ম্মে এই যজ্ঞ বেদিতে স্থিত হও। দ্বিতীয় বেদীতে বিশ্বের সমস্ত দেবগন এবং যজমান উপবেশন করুন।

 যজ্ঞ কাষ্ঠ থেকে ৮ আঙ্গুল পরিমিত কাষ্ঠখন্ড নিয়ে মনে মনে  ঘিয়ে ভিজিয়ে নিন। এবং মন্ত্র উচ্চারণের শেষে অগ্নিতে নিক্ষেপ করুন।

ওম অয়ন্তঃ ইদম আত্মা জাত বেদস্তেন অধ্যস্ব বর্দ্ধস্ব চেদ্ধ বর্দ্ধয় চাস্মান প্রজয়া  পশুভিঃ ব্রহ্মবর্চ্চ সেনান্নাদ্যেন সমধেয় স্বাহা। ইদম অগ্নয়ে জাত বেদসে ইদং ন মম।
হে অগ্নি, এই সমিধ তোমার আধার, এর দ্বারা তুমি প্রজ্জ্বলিত হও, বর্ধিত হও  এবং আমাদেরকে বর্দ্ধিত করো। সমস্ত সন্তান-সন্ততিদের বর্দ্ধিত করো। সমস্ত গৃহপালিত পশুদের বর্দ্ধিত করো।  আমাদের অন্নাদি বর্দ্ধিত করো। আমাদের ব্রাম্হতেজ দান করো। এই আহুতি জাতবেদা অগ্নির জন্য, আমার জন্য নহে।
এবার প্রতি মন্ত্রের শেষে যজ্ঞানীতে ঘৃত আহুতি দিন মনে মনে।
 অথর্ব বেদ - তৃতীয় অনুবাক -

তৃতীয় সুক্ত :  ওং আয়ুৰ্দা অগ্নে জরসং বৃণানো ঘৃত প্রতীকো ঘৃতপৃষ্ঠো অগ্নে। ঘৃতং পীত্বা মধু চারু গব্যং পিতেব পুত্রানভি রক্ষতাদিমম। (১)
 হে আয়ুদানকারী অগ্নি, হে জরাপর্য্ন্ত আয়ুদানকারী অগ্নি, তুমি ঘৃতপ্রতীক, তুমি ঘৃতপৃষ্ঠ। আমাদের দ্বারা আহুত মধুর নির্মল ঘৃত  পান করে, তুষ্ট হয়ে, পিতা যেমন পুত্রকে রক্ষা করে, সেই ভাবে তুমি এই মানবের রক্ষা করো।
ওং পরি ধত্ত ধত্ত নো বর্চসেমং জরামৃত্যুং কৃনিত দীর্ঘমায়ুঃ। (২)
 হে দেবগন, আমাদেরকে তুমি এমন কাপড় পরিয়ে দাও,  আমাদেরকে এমন তেজস্বী করো, যাতে আমাদের অকাল-মৃত্যু না হয়, আমাদেরকে তুমি দীর্ঘায়ু করো।

পঞ্চম সুক্ত :
যথা দৌশ্চ পৃথিবী, চ ন বিভীতো ন রিষ্যতঃ। এবা মে প্রাণ মা বিভেঃ।  ১
দেবাদির আশ্রয়রূপ দ্যুলোক ও মনুষ্যাদির আশ্রয়স্থল এই ভূলোক।  দেব ও মনুষ্যের উপজীব্য এই ভূলোক ও দ্যুলোক বলে এখানে তাদের কোনো ভয় নেই, এখানে বিনষ্ট হবার কোনো কারন নেই। তাই হে প্রাণ, শত্রূ, গ্রহ ও রোগাদি থেকে ভয় বা মরন আশঙ্কা করো না।
যহাঽশ্চ রাত্রি চ ন বিভীতো ন রিষ্যতঃ। এবা মে প্রাণ মা বিভেঃ ২
এখানে দিন রাত্রি কখনো ভীত হয় না, বিনষ্ট হয় না। অতয়েব হে প্রাণ তুমি ভয় বা মরণের আশঙ্কা করো না।
যথা সূর্যশ্চ চন্দ্রশ্চ ন  বিভীত  ন রিষ্যতঃ।  এবা মে প্রাণ মা বিভেঃ ৩
এখানে চন্দ্র সূর্য কখনো ভীত  বা বিনষ্ট হয় না। অতয়েব প্রাণ তুমি ভয় বা মরণের আশঙ্কা করো না।
যথা সত্যাং চানৃত্যং চ ন বিভীত  ন রিষ্যতঃ।  এবা মে প্রাণ মা বিভেঃ। ৫
এখানে সত্য়বস্তু কখনো ভীত বা বিনষ্ট হয় না।  অতয়েব হে প্রাণ তুমি ভয় বা মরণের আশঙ্কা করো না।
ষষ্ঠ সুক্ত :
প্রাণাপানৌ মৃত্যোর্মা পাতং স্বাহা। ১
হে প্রাণ ও অপান দেবতাগণ তোমরা আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করো। স্বাহা মন্ত্রে তোমাকে আহুতি দিচ্ছি।
দ্যাবাপৃথিবী উপশ্রুতা মা পাতং স্বাহা।  ২
হে দ্যাবা পৃথিবী শ্রবণশক্তি প্রদান করে, আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করো। স্বাহা মন্ত্রে তোমাকে আহুতি দিচ্ছি।
সূর্য চক্ষুষা মা পাহি স্বাহা।  ৩
হে চক্ষুর দেবতা সূর্য তুমি রূপ দর্শন শক্তির দ্বারা আমাদের মৃত্যুর  হাত থেকে রক্ষা করো। স্বাহা মন্ত্রে তোমাকে আহুতি দিচ্ছি।
অগ্নে বৈশ্বানর বিশ্বৈর্মা দেবৈঃ পাহি স্বাহা।  ৪
হে বৈশ্বানর অগ্নি, সমস্ত দেবতারদের সাথে আমাকে মৃত্যু থেকে রক্ষা করো। স্বাহা মন্ত্রে তোমাকে আহুতি দিচ্ছি।
বিশ্বম্ভর বিশ্বেন মা ভরসা পাহি স্বাহা। 
হে বিশ্বম্ভর সকল পোষন শক্তির দ্বারা আমাকে মৃত্য থেকে রক্ষা করো। স্বাহা মন্ত্রে তোমাকে আহুতি দিচ্ছি।

সপ্তম সুক্ত :
ওজোঽস্যোজো মে দাঃ স্বাহা। ১ 
হে অগ্নি তুমি ওজোরূপ, আমাকে ওজ দাও।   স্বাহা মন্ত্রে তোমাকে আহুতি দিচ্ছি।
সহোঽসি সহো মে দাঃ স্বাহা। ২
হে অগ্নি, তুমি তেজ রূপ আমাকে তেজ দাও। স্বাহা মন্ত্রে তোমাকে আহুতি দিচ্ছি।
বলমসি বলং মে দাঃ স্বাহা। ৩
হে অগ্নি, তুমি বলরূপ, আমাকে বল দাও। স্বাহা মন্ত্রে তোমাকে আহুতি দিচ্ছি।
আয়ুর স্যায়ুর্মে  দাঃ স্বাহা। ৪
হে অগ্নি তুমি আয়ুরূপ, আমাকে আয়ু দাও। স্বাহা মন্ত্রে তোমাকে আহুতি দিচ্ছি।
শ্রোত্রমসি শ্রোত্রং  মে দাঃ স্বাহা। ৫
হে অগ্নি তুমি শ্রোত্র রূপ, আমাকে শ্রবণ শক্তি দাও। স্বাহা মন্ত্রে তোমাকে আহুতি দিচ্ছি।
চক্ষুরসি চক্ষুর্মে   দাঃ স্বাহা। ৬
হে অগ্নি তুমি চক্ষুরূপ, আমাকে দর্শন শক্তি দাও।  স্বাহা মন্ত্রে তোমাকে আহুতি দিচ্ছি।

অথর্ববেদ দ্বিতীয় কান্ড : চতুর্থ অনুবাক  : দ্বিতীয় সুক্ত : পৃ : ৪৭ 

অগ্নে যৎ তে  তপস্তেন তং প্রতি তপ যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ১
হে অগ্নি  তোমার যে সন্তাপ শক্তি আছে, তা দিয়ে আমাদের শত্রুর প্রতি প্রজ্বলিত হও, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।
অগ্নে যৎ হরস্তেন  তং প্রতি হর যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ২
হে অগ্নি তোমার যে সংহার শক্তি আছে, তা দিয়ে তুমি শত্রূদের  সংহার করো, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।
 অগ্নে যৎ তেঽর্চিস্তেন তং প্রত্যর্চ যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ৩
হে অগ্নি, তোমার যে দীপ্তি আছে, তা দিয়ে তাকে দগ্ধ করবার জন্য দীপ্ত হও, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।
অগ্নে যৎ তে শোচিস্তেন তং  প্রতি শোচ যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ৪
হে অগ্নি,  তোমার যে শোকজনন সামর্থ আছে, তা দিয়ে তাকে শোকযুক্ত করো, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।
অগ্নে যৎ তে তেজস্তেন তম তেজসং কৃনু  যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ৫ 
হে অগ্নি, তোমার যে পরকে অভিভব করার যে তেজ আছে, তা দিয়ে তাকে নিস্তেজ করো, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।

তৃতীয় সুক্ত :
 বায়ো যৎ তে  তপস্তেন তং প্রতি তপ যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ১
হে বায়ু,  তোমার যে সন্তাপ শক্তি আছে, তা দিয়ে আমাদের শত্রূর  প্রতি প্রজ্বলিত হও, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।
বায়ো  যৎ হরস্তেন তং   প্রতি হর যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ২
হে বায়ু, তোমার যে সংহারণ শক্তি আছে, তা দিয়ে তুমি শত্রুদের সংহার করো,যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।
বায়ো যৎ তেঽর্চিস্তেন তং প্রত্যর্চ যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ৩
হে বায়ু, তোমার যে দীপ্তি আছে, তা দিয়ে তাকে দগ্ধ করবার জন্য দীপ্ত হও, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।
বায়ো যৎ তে শোচিস্তেন তং  প্রতি শোচ যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ৪
হে বায়ু ,  তোমার যে শোকজনন সামর্থ আছে, তা দিয়ে তাকে শোকযুক্ত করো, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।
বায়ো যৎ তে তেজস্তেন তম তেজসং কৃনু  যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ৫ 
হে বায়ু , তোমার যে পরকে অভিভব করার যে তেজ আছে, তা দিয়ে তাকে নিস্তেজ করো, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।

পঞ্চম সুক্ত  :
চন্দ্র  যৎ তে  তপস্তেন তং প্রতি তপ যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ১
হে চন্দ্র   তোমার যে সন্তাপ শক্তি আছে, তা দিয়ে আমাদের শত্রুর প্রতি প্রজ্বলিত হও, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।
চন্দ্র  যৎ হরস্তেন তং   প্রতি হর যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ২
হে চন্দ্র  তোমার যে সংহারণ শক্তি আছে, তা দিয়ে তুমি শত্রুদের সংহার করো,যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।
চন্দ্র  যৎ তেঽর্চিস্তেন তং প্রত্যর্চ যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ৩
হে চন্দ্র , তোমার যে দীপ্তি আছে, তা দিয়ে তাকে দগ্ধ করবার জন্য দীপ্ত হও, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।
চন্দ্র  যৎ তে শোচিস্তেন তং প্রতি শোচ যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ৪
হে চন্দ্র ,  তোমার যে শোকজনন সামর্থ আছে, তা দিয়ে তাকে শোকযুক্ত করো, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।
চন্দ্র  যৎ তে তেজস্তেন তম তেজসং কৃনু  যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ৫ 
হে চন্দ্র , তোমার যে পরকে অভিভব করার যে তেজ আছে, তা দিয়ে তাকে নিস্তেজ করো, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।

ষষ্ঠ সুক্ত :
অপো যদ্ বস্তুপস্তেন তং প্রতি তপত  যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ১
হে চন্দ্র   তোমার যে সন্তাপ শক্তি আছে, তা দিয়ে আমাদের শত্রুর প্রতি প্রজ্বলিত হও, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।
অপো   যৎ বো হরস্তেন তং  প্রতি হর যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ২
হে চন্দ্র  তোমার যে সংহারণ শক্তি আছে, তা দিয়ে তুমি শত্রুদের সংহার করো,যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।
অপো   যৎ বঃ বোঽর্চিস্তেন তং প্রত্যর্চ যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ৩
হে চন্দ্র , তোমার যে দীপ্তি আছে, তা দিয়ে তাকে দগ্ধ করবার জন্য দীপ্ত হও, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।
আপো   যৎ বস্তেজস্তেন তম তেজসং কৃনুৎ  যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ৪ 
হে চন্দ্র , তোমার যে পরকে অভিভব করার যে তেজ আছে, তা দিয়ে তাকে নিস্তেজ করো, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।

ওম ভূর্ভুবঃ স্বঃ।  ওম তৎসবিতুৰ বরেণ্যম। ভর্গো দেবস্য ধীমহি ধিয়ো যো নঃ প্রচোদয়াৎ ওম স্বাহা। (তিনবার)

 ওঁং হৌং জূং স্বঃ ওঁং ভূঃ র্ভূবঃ স্বাঃ। 
ওঁং  ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টি বর্ধনম। 
উর্ব্বারুক্মিব বন্ধনান্ মৃত্যুর্মুক্ষীয় মাঽমৃতাৎ।।
ওম্ স্বাহা ভুবঃ ভূঃ ওম্ স্বঃ জূং হৌং ওঁং 
ওম স্বাহা। ( তিন বার)

ওম ব্রহ্মার্পনং ব্রহ্ম হবির ব্রাহ্মগ্নৌ ব্রহ্মনা হুতম।
ব্রহ্মৈব তেন গন্তব্যং ব্রহ্ম কর্ম্ম সমাধিনা।
ওং তৎ সৎ হরিঃ ওং।

ওং অগ্নে ত্বংসমুদ্রং গচ্ছ
ওং পৃথ্বি ত্বং শীতলা ভব। 

ওম সর্ব্বেষাং মঙ্গলম ভূয়াৎ সর্ব্বে সন্তু নিরাময়াঃ ।
সর্ব্বে ভদ্রানি পশ্যন্তু মা কশ্চিৎ দুঃখভাক্ ভবেৎ।
নন্দন্তু সর্ব্ব ভূতানি নিরাতাঙ্কনি সন্তু চ।
প্রীতিরস্তু পরস্পরং সিদ্ধিরস্তু চ কর্ম্মনাম।
স্বস্তস্তু নিত্যশো  রাজ্ঞঃ শং প্রজাভ্যস্তথৈব চ।
স্বস্তস্তু দ্বিপদে  নিত্যং শান্তিরস্তু চতুষ্পদে।
শান্তিরস্তু নো দেবস্য ভূর্ভুবঃ স্বঃ শিবং তথা।
সর্ব্বতঃ শান্তিরস্তু নো সৌম্যা  ভূতানি চৈব হি।
ত্বং দেব জগতঃ স্রষ্টা পাতা দৈবতমেব হি।
প্রজা পালয় দেবেশ শান্তিং কুরু জগৎপতে।
যো মহি স্নিহ্য়তি  তস্য শিবমস্তু সদা ভুবি।
যশ্চ মাং দ্বেষ্টি লোকেঽস্মিন সোঽপি ভদ্রানি পশ্যতু।
 ওম শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ হরি ওং।

ওম দৌঃ শান্তিঃ অন্তরীক্ষং শান্তিঃ পৃথিবী শান্তিঃ রাপঃ শান্তিঃ রোষধয়ঃ শান্তিঃ বনস্পতঃ শান্তিঃ বিশ্বে দেবাঃ শান্তিঃ ব্রহ্ম শান্তিঃ সর্ব্বং শান্তিঃ শান্তিরেব শান্তিঃ সা মা শান্তিরেধি।


No comments:

Post a Comment