Monday, 18 October 2021

জন্মাষ্টমী - ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাবদিবস।


জন্মাষ্টমীর  রহস্যঃ

জন্মাষ্টমী - ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাবদিবস।    ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম দিন।  আমরা ভাবতে খুব অবাক লাগে, ভগবানের আবার জন্ম মৃত্যু হয় নাকি ?  যিনি অজর -অমর -শ্বাশত তার আবার জন্ম ? কেউ কেউ এটাকে ঘুরিয়ে বলেন, আবির্ভাব দিবস।  ভগবানের আবির্ভাব হতে পারে, অন্তর্দ্ধান হতে পারে। গভীর ভাবে দেখতে গেলে, ভগবানের আসাও নেই, আবার যাওয়াও নেই। তথাপি আমাদের যেমন  শ্বাস-প্রশ্বাসের আসা যাওয়া আছে, আর এর মাধ্যমেই সবকিছু প্রাণবন্ত থাকে।  তেমনি ভগবান প্রতিনিয়ত আসেন, আবার যান, কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে আমাদের সঙ্গেই থাকেন।  শ্বাশত সত্তার কখনো জন্ম মৃত্যু হতে পারে না।  আসলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দুটো সত্তা।  একটি হচ্ছে, পুরান কাহিনীতে, পৌরাণিক-পরমপুরুষ শ্রীকৃষ্ণ। আবার মহাভারতের পুরুষোত্তম শ্রীকৃষ্ণ। আবার, ইতিহাসবিদগণ শ্রীকৃষ্ণকে একজন শ্রেষ্ঠ  রাজনৈতিক নেতা, শ্রেষ্ঠ কূটনীতিবিদ হিসেবে দেখেছেন। 

এবার আমরা আসল আমরা মহাভারতের কৃষ্ণের কথায় আসি। মহাভারতে কিন্তু বালক কৃষ্ণের দেখা নেই। মহাভারতে কৃষ্ণ এসেছেন, দ্রৌপদীর স্বয়ম্বর সভায়। তার আগের কৃষ্ণকে জানতে গেলে, আমাদের পরবর্তী পুরান-সম্ভারে যেতে হবে, অর্থাৎ হরিবংশ, বিষ্ণুপুরান, ভাগবত কথায় ঢুকতে হবে।

যোগেশ্বর  শ্রীকৃষ্ণের কবে জন্ম হয়েছিল, তার সঠিক দিন-তারিখ আমরা জানি না। বলা হয়ে থাকে, যে খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ থেকে ১৫০০ বছর আগে, তিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন। আসলে সব গল্পের আগে একটা গল্প থাকে।  সব কাহিনীর আগে একটা কাহিনী থাকে। শ্রীকৃষ্ণের জন্মের আগেও এই জন্মকাহিনীর মুলে আরো সব কাহিনী আছে।  আমরা সে কথায় যাবো না। আমরা কংসের কথা দিয়ে শুরু করবো। আমরা শুনেছি, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্য, ভগবানের অবতার হয়ে থাকে। তো সেই কাজের মধ্যে  কিশোর কৃষ্ণের প্রথম  দুঃসাহসিক কাজ হলো,  তারই নিজের মাতুল কংসকে হত্যা করা। এই কংস ছিলেন, তার মায়ের আপন ভাই। সত্যিই কি আপন ? তাহলে একই পিতা-মাতার সন্তান এমন পৈশাচিক হয় কি করে ? যার পুণ্যবান বোনের ঘরে আসছেন , স্বয়ং বিষ্ণু, আমাদের পালন কর্তা। নিজের বোনের  সন্তানদের একের পর এক আছাড়  দিয়ে মারে কি করে ? সবাই জানে, কংসের পিতা হচ্ছেন, উগ্রসেন। আসলে কংসের পিতা হচ্ছে, দ্রুমিল নামক  এক মায়াবী রাক্ষস। যিনি উগ্রসেনের রূপ ধরে তার স্ত্রীর (সুদেষ্ণা) সঙ্গে সংসর্গ করেন।  আর তারই ফল রাক্ষস কংস।আসলে মা-বাবার মানসিক অবস্থা সেইমতো সন্তানকে আকর্ষণ করে থাকে। সন্তানেরাও সেইমতো মা-বাবার খোঁজ করে, যাদের সঙ্গে সম্পর্কে তার সংকল্প সিদ্ধ হবে। 

 এই কংস হচ্ছে পূর্বজন্মের কালনেমি। এই কালনেমি হচ্ছে, হিরণ্য-কাশ্যপ-এর ভাই।  এই কালনেমির ছয় সন্তান ছিলো। এরা  সবাই বিষ্ণুভক্ত ছিল। কিন্তু হিরণ্যকশিপু বিষ্ণুকে শত্রু মানতেন। তো এই কালনেমির সন্তানদের হিরণ্যকশিপু স্নেহ করতেন, কিন্তু এরা  সবাই বিষ্ণুভক্ত ছিল বলে, এই জ্ঞাতিশত্রুদের তিনি অভিশাপ দিয়েছিলেন, যে এদের সবাইকে  একদিন পিতার হাতে মরতে হবে। তো সেই অভিশাপের বলে, কংস নিজের অজ্ঞাতসারেই পূর্বজন্মের  নিজ পুত্রদের বিষ্ণুজ্ঞানে হত্যা করেছিল। 

দেবকীর গর্ভের সপ্তম  সন্তান হচ্ছেন, অনন্তদেব। ভগবান যোগমায়ার সাহায্যে এই অনন্তদেবকে রক্ষা করবার জন্য, রোহিণীর গর্ভে স্থাপন করেন।  সবাই ধরে নেন, দেবকীর গর্ভপাত হয়েছে। আর যোগমায়াকে  নন্দপত্নী যশোদার গর্ভে প্রবেশ করতে বললেন। সেই মতো সবকিছু হলো যোগমায়া  ভগবানের আদেশ পালন করলেন। এই হলো, দেবকীর সাত সন্তানের রূপক-কাহিনী। এবার স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুর অংশে জন্ম নেবেন।  এর পরের কাহিনী আপনারা সবাই জানেন।  যশোদার মেয়ে চলে এলো দেবকীর ক্রোড়ে, আর ভগবান স্বয়ং চললেন, যশোদার কোলে। 

এতো গেলো মহাভারতের শ্রীকৃষ্ণ। এই মহাভারতের শ্রীকৃষ্ণের আগেও একজন  ঋষি কৃষ্ণের কথা আমরা ঋক-বেদের খিল সূক্তে (১০/১) উল্লেখ করা হয়েছে। - সেখানে বলা হচ্ছে, "কৃষ্ণ বিজ্ঞো বাসুদেব ঋষিকেশ নমস্তুতে। " জানিনা এসব কথা পরবর্তীতে মহাভারত লেখার অনেক পরে, সংযোজন করা হয়েছে কি না। তথাপি এখানে দেখছি,  কৃষ্ণকে বাসুদেব, অর্থাৎ বসুদেবের পুত্র বলা হয়েছে। ঋক্বেদের এই কৃষ্ণ অঙ্গিরস বংশীয়।  মহাভারতের শ্রীকৃষ্ণ যেমন যাদব বংশীয়। আবার মহাভারতের কৃষ্ণও  দেবকীপুত্র।  ঋক্বেদের কৃষ্ণকেও বলা হচ্ছে, দেবকীপুত্র। অথর্ব বেদেও শ্রীকৃষ্ণের কথা বলা হয়েছে। এখানে শ্রীকৃষ্ণ দৈত্যসংহার-কর্তা। ( মূলসূত্র : হরিবংশ - মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন - সম্পাদনা ডঃ দীপক চন্দ্র - দেব সাহিত্য কুটির প্রাঃ লিমিটেড  পৃষ্ঠা - ঙ )

আবার যোগশাস্ত্রেও বা তন্ত্রশাস্ত্রে  আমরা আরো এক কৃষ্ণের কথা শুনতে পাই। 

সেখানে বলা হচ্ছে,আমাদের দেহের তিনটি ভাগ। স্থুল -সুক্ষ - কারন। সাধু-মহাত্মারা এটা অনুভূতিলব্ধ জ্ঞানের সাহায্যে উপলব্ধি করেছেন। তাঁরা স্থুল -সুক্ষ -কারন ভেদে দেহের অন্তর-পথকে তিনটি নামে উল্লেখ করেছেন। পিন্ডদেশ, অন্ডদেশ, এবং ব্রহ্মদেশ।

এই ব্রহ্মান্ড ভূমির অতীত হচ্ছে পরমভূমি, যাকে চৈতন্যভূমি বলা হয়। সাধু-মহাত্মাদের এখানেই গন্তব্য, এখান থেকেই আমরা আসি, এখানেই রক্ষিত আছে সমস্ত সৃষ্টির বীজ। এখানেই জীবের সত্যিকারের মুক্তি। পিন্ডদেশ : ১. মূলাধার চক্র - এর অধিপতি হচ্ছেন শ্রী গনেশ। ২. স্বাধিষ্ঠান চক্র - এর অধিপতি ব্রহ্মা। ৩. মনিপুর চক্র - এর অধিপতি বিষ্ণু বা শ্রীকৃষ্ণ । ৪. অনাহত চক্র - অধিষ্ঠাত্রী দেবী, কালী-দূর্গা ইত্যাদি শক্তি। ৫. বিশুদ্ধচক্র - এখানকার অধিপতি হচ্ছেন শিব। ৬. এর উপরের ভূমি আজ্ঞাচক্র - এর অধিপতি ব্রহ্ম। অন্ডদেশ : আসলে অন্ডদেশের অনুকরণেই তৈরী হয়েছে পিন্ডদেশ। অর্থাৎ আমরা আগে যেটা আলোচনা করলাম।
ব্রহ্মান্ড দেশ : ব্রহ্মান্ডদেশ আজ্ঞাচক্র থেকে সহস্রার চক্রের মধ্যে। এই সহস্রার -ভূমির অধিপতি হচ্ছেন, পরমপুরুষ-নিরঞ্জন পুরুষ। এখান থেকে দশটি ধুন বা নাদ প্রকট হয়েছে। আসল বিষ্ণুভূমি, শিবভূমি, এবং ব্রহ্মভূমি এখানে। অর্থাৎ সহস্রদল পদ্মে এই তিন ভূমি অবস্থান করছে। এর উপরিভাগে আছে পরব্রহ্ম। পিন্ডদেশ ও অণ্ডদেশ হচ্ছে ব্রহ্মান্ড দেশের নকল, যা তৈরি করে রেখেছেন কাল এবং মায়া । কাল ও মায়া মিলে তৈরি করেছেন অন্ডদেশ, আর মায়া তৈরি করেছেন পিন্ডদেশ। সে যাই হোক, পিণ্ডদেশ ও অণ্ডদেশের আসল কেন্দ্র হচ্ছে ব্রহ্মান্ডভূমি। আর এই ব্রহ্মান্ডভূমি থেকে দশটি ধুন বা নাদ অর্থাৎ শব্দ তরঙ্গ বিভিন্ন দেশে বা স্থানে এবং বিভিন্ন ভাবে প্রবাহিত হচ্ছে। পরব্রহ্ম থেকেই সমস্ত নাদের উৎপত্তি। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় এসে, এই শব্দ তরঙ্গ বিভিন্ন ভাবে শ্রুত হচ্ছে, অর্থাৎ শব্দ তরঙ্গ পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন হচ্ছে, পরিবর্তন হচ্ছে তার শক্তিমত্তার । তাই একই ধ্বনি যখন প্রবাহিত হয়, কালক্রমে তার শক্তি ও পর্যায়ের পরিবর্তন হচ্ছে । আর এই ব্রহ্মান্ডদেশের সর্বোচ্চ ধাম থেকে যে ধ্বনি প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে, তা পিন্ডদেশের মূলাধার পর্য্যন্ত প্রবাহিত হচ্ছে। এবং বিভিন্ন স্তরে এসে তার শক্তি ও তরঙ্গের মাত্রার পরিবর্তন হচ্ছে। ব্রহ্মভূমিতে ধ্বনিত হচ্ছে রাং বা ক্লিং ( কৃষ্ণের বাঁশির সুর ) আর এই কারণেই আমরা দেখি শ্রীকৃষ্ণের বীজ মন্ত্র হচ্ছে ক্লীং। প্রসঙ্গত একটা কথা বলি, এই যে চক্রগুলোর কথা বলা হয়েছে, যা আমাদের শরীরের মেরুদণ্ডের বিভিন্ন অংশে অবস্থিত। এগুলো আর কিছুই নয়, গ্রন্থিচক্র, অর্থাৎ এই সব জায়গায়, বিভিন্ন গ্রন্থির বিভাগ স্থল। গ্রন্থিগুলো নেমে এসেছে উচ্চ মস্তিস্ক থেকে, এখানে গ্রাহক ও প্রেরক গ্রন্থির বিভাগ স্থল। তাই আমাদের কোনো দেবতাকে পেতে হলে সেই দেবভূমি হতে আগত তরঙ্গের সাথে নিজেকে যুক্ত করতে হবে। ধ্বনিটা আসল। ব্রহ্মান্ডভূমির মন্ত্র হচ্ছে বা ধ্বনি হচ্ছে ক্লীং। যিনি ব্রহ্মান্ডভূমির সঙ্গে বা কৃষ্ণের সঙ্গে যুক্ত হতে চান তাকে এই ব্রহ্মান্ড ভূমির ধ্বনির সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।

এবার বলি, জন্মাষ্টমীর  দিনের মাহাত্ম।  ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি। এটি একটি গুরুত্ত্বপূর্ন সন্ধ্যিক্ষণ। যাঁরা একটু আধটু যোগের অভ্যাস করেন, তা উপলব্ধি করবেন সন্ধ্যিক্ষনের প্রভাব। আমরা জানি, দিনরাতের মধ্যে চারটে সন্ধ্যিক্ষন হচ্ছে যোগের সময়।  ভোর বেলা, সূর্য যখন উদয়-উন্মুখ,  দুপুরবেলা, সূর্য যখন মাধ্যগগনে , সন্ধ্যাবেলা, সূর্য যখন অস্তাচলমুখী   এবং গভীর রাত  যখন সূর্য পৃথিবীতে আমাদের অবস্থানের ঠিক বিপরীত স্থানে অবস্থান করছে। খেয়াল করুন ভগবান এলেন গভীর রাতে। 

যোগের সময় নির্ধারণের আরো একটা দিক আছে, তা হচ্ছে, চন্দ্রের অবস্থান। আপনি জানবেন, অন্ধকার রাতে যোগের গভীরতা বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ কৃষ্ণপক্ষের রাতগুলোকে যোগীগণ বিশেষভাবে উপযোগ করে থাকেন। আসলে কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত গভীর রাতে চন্দ্রের অবস্থানগত কারনে, এইসময়  যোগ অধিক ফলপ্রসূ হয় । আবার শুক্ল পক্ষের অষ্টমী থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত পার্থিব কর্ম্মের জন্য অধিক ফলপ্রদ মুহূর্ত ।  এমনকি এই সময় আমাদের শত্রুনাশের সময়। কারন এইসময় পার্থিব দিকথেকে, শারীরিক দিক থেকে  আমরা অধিক বল বা কর্মক্ষমতা অর্জন করে থাকি।  আসলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এসেছেন, অবিদ্যারূপ অন্ধকারকে দূর করতে। আর আমাদের মধ্যে যখন, অজ্ঞান-অন্ধকারে, নিদ্রামগ্ন থাকি, তখন ভগবান আসেন, আমাদের অজ্ঞান-অন্ধকার দূর করে।

হরিবংশ পুরানে   শ্রীকৃষ্ণের বংশপঞ্জি দেখতে গিয়ে দেখছিলাম, তিনি চন্দ্র বংশে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। এই বংশেই  ঋষি যযাতি জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। যযাতি ও দেবযানীর পুত্র ছিলেন যদু।  এই যদুর নাম থেকেই যাদব বংশের উৎপত্তি। যদুর নবম বংশধরের নাম  হচ্ছে বৃষ্ণি।  ৩২ পুরুষে এসে, জন্ম হয় বসুদেবের। আর বসুদেব ও দেবকীর পুত্র শ্রীকৃষ্ণ, যদু-বংশের  ৩৩তম পুরুষ। 

তো শ্রী কৃষ্ণ চন্দ্র বংশ জাত। পৃথিবীতে যেমন প্রাণের সৃষ্টি সাক্ষাৎ  কারন হচ্ছে পার্থিব চন্দ্র সূর্য, তেমনি আমাদের শরীরে আছে, চন্দ্র নাড়ী সূর্য নাড়ী। ইড়া (বাম) পিঙ্গলা (ডান) নামক শ্বাসক্রিয়ার দুটো  গতিপথ, যা আমাদেরকে প্রাণবন্ত করে রেখেছে।  

আসলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মক্ষণ ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী  যেমন ভক্তদের কাছে, খুব গুরুত্ত্বপূর্ণ তেমনি যেকোনো অধ্যাত্ম পুরুষের কাছে গুরুত্ত্বপূর্ন।  এইসময় যোগীপুরুষ, তান্ত্রিক, বৈষ্ণব, শাক্ত, এমনকি শৈব্য সবার কাছেই এক মাহেন্দ্রক্ষণ। আপনি পারিবারিক সূত্রে যে ধর্ম্মের মানুষ হন না কেন, এই অষ্টমীর  রাতে শুধু নির্জনে, চেতন থেকে, একাগ্র চিত্তে  ঈশ্বরের স্মরণ, মনন, এমনকি প্রার্থনা, উপাসনা করে দেখুন, এক অলৌকিক ফলের অধিকারী হবেন।একটা রাত  জেগেই দেখুন না। অন্যের কথায় বিশ্বাস করতে যাবেন না, নিজে একবারটি পরীক্ষা করেই দেখুন। আপনাকে বসুদেব-দেবকী পুত্রকে অর্থাৎ ঐতিহাসিক মহাত্মা যোগেশ্বর শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করতে হবে না, আপনি আপনার আরাধ্যদেবকে স্মরণ করে দেখুন। পরমেশ্বরকে  স্মরণ করুন। যা আগে কখনো ঘটেনি, তাই এখন ঘটবে।  শুধু আগামী সোমবার, একটা  রাতের জন্য,  ভগবানের কাছে নিজে নিবেদন করুন ।   

ওম নমঃ শ্রী ভগবতে বাসুদেবায় নমঃ।       


 

  




    

1 comment:

  1. Casino near me - MapyRO
    Casino 양산 출장마사지 is 구미 출장안마 in 밀양 출장마사지 the heart of downtown New London and you can expect a casino hotel with slots, table games, 안성 출장안마 Hotel near me in Oxford, England. 의왕 출장안마

    ReplyDelete