Monday, 20 April 2020

যমরাজ কারুর বাপের কেনা গোলাম নয়।



যমরাজ কারুর বাপের কেনা গোলাম নয়।

পরম-পুরুষ শ্রী রামচন্দ্রের  রাজত্বে, বাপের বর্তমানে ছেলের মৃত্যু হচ্ছে। পণ্ডিত  ব্রাহ্মণগণ নিদান দিলেন, শুদ্র শম্বুকের উগ্র তপস্যা এর কারন। তো বিশ্বামিত্র মুনি  রামচন্দ্রকে নিয়ে গভীর জঙ্গলে খুঁজে খুঁজে, শম্বুকের সন্ধান পেলেন। শম্বুক তপস্যা-রত  ছিলেন। রামচন্দ্র তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি জানো, তোমার এই তপস্যার জন্য, রাজ্যে অরাজকতা শুরু হয়েছে?  পিতার বর্তমানে পুত্রের মৃত্যু হচ্ছে ? ঋষি শম্বুক বিনীত ভাবে বললেন, যমরাজ কারুর বাপের কেনা গোলাম নয়, মানুষ তার স্বকৃত কর্ম্মফল ভোগ করে মাত্র। বিধির নির্দেশেই জীবের জন্ম-মৃত্যু হয় । এতে মানুষের কোনো হাত নেই। রামচন্দ্র এই ধ্রুবসত্য  বাক্য শুনে, ক্ষনিকের জন্য থমকে গেলেন। বিশ্বামিত্র মুনি রামচন্দ্রকে  বললেন, দেখেছো শুদ্রের স্পর্ধা, রাজার মুখের উপরে কথা বলে। শীঘ্রই নিধন করো, এই পাপিষ্ঠকে। রামচন্দ্র তক্ষুনি ঋষি শম্বুককে তীরবিদ্ধ করে হত্যা করলেন।

শ্রীকৃষ্ণ যজ্ঞ করছেন।  এক ব্রাহ্মণ এসে, কান্নাকাটি জুড়ে দিলেন। তাঁর নাকি সন্তান জন্মের পরেই পঞ্চত্বপ্রাপ্ত হয়। এর জন্য দায়ী নিশ্চই রাজ্যের রাজা। তো উপস্থিত সবাই  তাকে শান্ত হতে বললেন।  কিন্তু ব্রাহ্মণ কথা শুনছেন  না। চিৎকার চ্যাঁচামেচি জুড়ে দিয়েছেন । তো শ্রী কৃষ্ণের কাছে খবর গেলো। শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে পাঠালেন। অর্জুন ব্রাহ্মণকে নিয়ে তার বাড়িতে গেলেন, সেখানে কড়া পাহারা দিতে লাগলেন, যাতে যম ব্রাহ্মণের বাড়ির ত্রিসীমানায় না আসতে  পারে।  কিন্তু   শত চেষ্টা করেও, সমস্যার সমাধান করতে পারলেন না। শেষে শ্রীকৃষ্ণ নিজেই সমস্যা সমাধানের জন্য, যমরাজের কাছে গেলেন। যমরাজ বিনীত ভাবে বললেন, বিধির বিধান খণ্ডন করবার ক্ষমতা তার নেই। তো শ্রীকৃষ্ণ সেখান থেকে চললেন, বিধির বিধায়ক   সেই পরম পুরুষ নারায়ণের কাছে। সেখান থেকে তার অনুমিত নিয়ে, ব্রাহ্মণের সমস্ত সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে এলেন।

দুটোই পৌরাণিক কাহিনী। তো মৃত্যুকে আপনি কিভাবে দূরে রাখবেন ? সেতো আপনার অধীন নয়। আপনি নিজের সন্তুষ্টির জন্য, মৃত্যুর জন্য অন্যকে দায়ী করে তাকে  মারতে পারেন।  আপনি মৃত্যুকে ডাকতে পারেন। কিন্তু আপনি মৃত্যুকে দূরে সরিয়ে দিতে পারেন না। রামচন্দ্র মৃত্যুকে দূর করবার পরিবর্তে মৃত্যুকেই ডেকে এনেছিলেন। কিন্তু  শ্রীকৃষ্ণ মৃত্যুর সীমিত ক্ষমতাকে অস্বীকার করেন নি, বরং জীবনের মূল উৎসে চলে গিয়েছিলেন। আর সেখান থেকেই পুনরায় জীবনকে ফিরিয়ে এনেছিলেন। তো আমরা কোন পথ অবলম্বন  করবো ?

বছর  পাঁচেক আগে আমর এক অন্তরঙ্গ বন্ধু মারা যায়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমরি হাসপাতালে গেলাম। সামান্য একদিনের অসুস্থতায় সে মারা যায়।  অথচ, প্রতিনিয়ত সে ডাক্তারের নির্দেশ  অনুযায়ী, বডি চেক-আপ করতো। তার এই অকালমৃত্যু আমাকে অসহায় করে তোলে। বন্ধুটির একটি মাত্র মেয়ে। ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠ শেষ করে, সবে চাকরি পেয়েছে। ভাবলাম,  ওর তো ছেলে নেই, মেয়ে-বৌ কতদূর কি করবে, যাই সৎকারের ব্যবস্থা তো করতে হবে। তো আমাদের আর এক বন্ধুকে নিয়ে আমরি হসপিটালে  গেলাম। গিয়ে দেখলাম, ওর স্ত্রী ভেঙে পড়েছেন । কিন্তু মেয়েটিকে দেখলাম, একদিনেই সে যেন বড়ো হয়ে গেছে।  মাকে সামলাচ্ছে, হসপিটালের বিল মেটাচ্ছে, হাসপাতালের স্টাফদের সাথে কথা বলছে, কিভাবে কি করতে হবে, সব জেনে  নিচ্ছে।

ত্রিবান্দ্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের মালয়ালাম ভাষার অধ্যাপক ছিলেন, মিস্টার নায়ার। বিশিষ্ট ভদ্রলোক কিন্তু ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই। তাদের ছয় বছরের শিশুটি কিছুদিন ধরেই অসুস্থ থেকে মারা যায় । শিশুটি মৃত্যুর ঠিক আগে, মাকে  বললো বাবাকে একটু ডেকে দাও। ।  বাবা কাছে এলে, ছেলেটি উচ্চস্বরে একটা  স্তোত্র পাঠ  করতে লাগলো। বাবা তো অবাক, এই স্তোত্র তাকে কখনো শেখানো হয় নি।  সে নিজেও এই স্ত্রোত্র কখনো শোনেনি। এর পরেই ছেলেটি দেহ ত্যাগ করলো। এই ঘটনা শ্রী নায়ার-এর জীবনে একটি চরম পরিবর্তন আনলো।  যা তাকে ঈশ্বরমুখী করে দিয়েছিলো। আর একটা জিনিস সে বুঝছিলো, তা হচ্ছে, মানুষ প্রতিনিয়ত তার সংস্কার নিয়ে দেহ থেকে দেহান্তরে ভ্রমন করছে। আমরা স্বল্পবুদ্ধি নিয়ে এর সত্যতা বুঝতে পারবো না।

জীবের মৃত্যু কখন এসে হানা দেবে, তা সাধারন জীবের অজ্ঞাত। আর এই মৃত্যু মুহূর্তে মানুষ বড়  অসহায় বোধ করে। মানুষ যখন সুস্থ  সবল থাকে, তখন সে ধুলিকনাকে মাড়িয়ে চলে। মৃত্যুতে সে  নিজেই ধুলিকনাতে পরিণত হয়ে যায়। চুল যখন মাথায় থাকে, তখন আমাদের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে। যখন সে খাবার থালায় বসতে চায়, তখন সে ঘৃণার বস্তু হয়ে যায়।  সাপ  যখন শিবের  মাথায় থাকে, তখন সে পূজার যোগ্য, মাথা থেকে নেবে গেলেই লাঠির আঘাতে আঘাতে জর্জরিত হয়ে যায়। দেহে যতক্ষন প্রাণ থাকে, ততক্ষন দেহের কদর। প্রাণহীন দেহ পরম-প্রিয়জনের কাছেও ত্যাগের বস্তু, ভয়ের বস্তু। সবথেকে আশ্চর্য্যের কথা হচ্ছে, প্রতিমুহূর্তে আমরা মৃত্যুর সম্মুখীন হচ্ছি, তথাপি ভাবছি, মৃত্যুর আমার জন্য নয়। সব মৃত্যুর কথাই আমরা ভুলে যাই। এমনকি আমরা আমাদের নিজেদের মৃত্যুর কথাও ভুলে যাই। আমি নিজে যে কতবার মারা গেছি, সে সব আমি ভুলে বসে আছি। আমি আবার মরবো, আবার ভুলে যাবো। কিন্তু মৃত্যুভয় আমাদের পিছু হটে  না। তাই আমরা সবাই মৃত্যু ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে আছি। জীবনে চার-পাঁচটি জিনিস আমাদের এড়িয়ে যাবার উপায় নেই।

১. শিশু থেকে আমরা একদিন অবশ্য়ই বৃদ্ধ হবো।
২. কোনো না কোনো দিন আমাদের এই শরীর  অসুস্থ হয়ে পড়বেই।  তা আপনি যতই সাবধানে চলুন না কেন, বা আপনি নিজে ডাক্তার হলেও অসুখ আপনাকে রেয়াত করবে না।
৩. আমাদের সবাইকে একদিন মরতেই হবে। এবং তাও একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই।  অর্থাৎ যে ধরনের শরীর  আপনি পেয়েছেন, সেই শরীরের পরমায়ু জন্মের সময় নির্দিষ্ট হয়ে গেছে।
৪. প্রতিনিয়ত আমাদের চাহিদার পরিবর্তন হতে থাকবে। এর থেকে রেহাই নেই।
৫. আমাদের ভাবনা-চিন্তা, কর্ম্ম আমাদের পরবর্তী শরীরের রূপ নির্দিষ্ট করছে, এর কোনো অন্যথা নেই।

অর্থাৎ আজকে আমি যে শরীর  প্রাপ্ত হয়েছি,  তা আমার পূর্ব্ব-পূর্ব্ব জীবনের কর্ম্ম ও ভাবনা-চিন্তার ফল। বার্ধক্যে আমাদের যৌবনের অহংকার থাকে না। অসুস্থ অবস্থায় আমার স্বাস্থ্যের অহংকার আঘাতপ্রাপ্ত হয়। মৃত্যুতে আমাদের জীবনের অহংকার থাকে না। কোনো জিনিস দীর্ঘকাল ব্যবহারের ফলে জীর্ন হয়ে গেলে, বা আমাদের কোনো জিনিস হারিয়ে গেলে, তার প্রতি আমাদের আসক্তি ত্যাগ করা উচিত। এবং বোঝা উচিত যে হয়, সেটি আমার দোষে হারিয়ে গেছে, বা বহুদিন ব্যবহারের ফলে, সেটি আর ব্যবহার-যোগ্য নেই। এর জন্য অন্য কেউ দায়ী নয়। নিয়তি, বা অপব্যবহার জনিত কারনে এটি ঘটে থাকতে পারে। আসলে আমিই আমার বর্তমান অবস্থার জন্য  দায়ী।

একটা অদৃশ্য শক্তি প্রতিনিয়ত নিখিল বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করছে। একটু ধীর হয়ে বসে  ভাবলেই, এটা আমরা বেশ ভালোভাবে বুঝতে পারি । কিন্তু আমাদের মৃত্যুর আগে কি ছিলাম, আর মৃত্যুর পরে আমরা কি হবো, সেটা আমাদের কাছে অজানা। আমরা কেন সুখ-দুঃখের মধ্যে হাবুডুবু খাই, তা আমরা জানি না। এই পৃথিবীলোক বলুন, আর সৌরজগৎ বলুন, সবই সূক্ষ্ম নিয়মের দ্বারা শৃঙ্খলিত। এ সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। জন্ম ও মৃত্যুর মধ্যে সময়ের যে ব্যবধান, একে আজও আমরা বুঝে উঠতে পারিনি। বটগাছ কেন দীর্ঘকাল বাঁচে, কচ্ছপ কেন দীর্ঘকাল বাঁচে, স্বামী ত্রৈলঙ্গ বা বাবা লোকনাথ কেন সাধারণের মানুষের থেকে বেশিদিন বাঁচেন , তা আমরা জানি না। অথবা একটা কীট কেন কয়েকঘন্টা বাঁচে, পাখী কেন মাত্র ২-৩ বছর বাঁচে, একটা কুকুর কেন ৮-১০ বছর বাঁচে, মানুষ কেন ৮০-১০০ বছর  বাঁচে, তা আমরা জানি না ।  জীবে জীবে  এই যে জীবনধারণের সময়কাল, কে এর নিয়ন্তা, কে এর নির্ধারক ? এর ব্যতিক্রম কিভাবেই হয়। এই সব প্রশ্নের জবাব আমাদের কাছে নেই। তবে এটা ঠিক যে, কিছু মহাত্মা আছেন, কিছু অনুসন্ধিৎসু মানুষ আছেন, যাঁরা এইসব প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন। এই মহাত্মাগণ আসলে বহু জন্মের অভিজ্ঞতালব্ধ মহান পুরুষ। আমরা যারা সদ্য সদ্য মনুষ্য শরীর পেয়েছি, তাদের পক্ষে এদের কথার গুরুত্ত্ব বোঝা সম্ভব নয়। আমাদের মধ্যে নিম্নতর পশুবৃত্তি লোপ পায়নি, যথার্থ জ্ঞানের উন্মেষ হয় নি।

যাই হোক, তাঁরা বলছেন, আমাদের সুখ-দুঃখের মূল হচ্ছে আমাদের মন। আর আমাদের অজ্ঞানতা আমাদের দুঃখ দুর্দশার  মূল। আমরা যত  অজ্ঞানতা কাটিয়ে উঠতে পারবো, আমাদের মন তত পরিষ্কার হবে, আর আমরা আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবো। ঠাকুর বলতেন, যে সয় সেই রয়। প্রতিটি সংসারে সহনশীল মানুষের সংখ্যা যত বেশি থাকবে,সেই সংসার তত সুখের হবে। পৃথিবীটা সহাবস্থানের জায়গা। এখানে একজন আর একজনের  সহযোগিতার মাধ্যমেই বেঁচে থাকে। কিন্তু আমরা আমাদের ব্যক্তি স্বার্থে, গোষ্ঠীস্বার্থে, দেশের স্বার্থে অন্যের ক্ষতি সাধন করবার কথা ভাবি। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে  হবে। আমাদের একে অন্যের পরিপূরক হতে হবে। একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। আমাকে কেউ যেন ভয় না পায়।  আমিও যেন অন্যকে ভয় না করি। অন্তরের ভিতর থেকে ভালো বাসতে  হবে সবাইকে । বসুধৈব কুটুম্বকম।

কিন্তু আমাদের মুশকিল হচ্ছে, আমাদের যারা শিক্ষক, সমাজের যারা অধ্যাপক, তাঁরা আমাদের মধ্যে রাগ, দ্বেষ, ঘৃণা ইত্যাদি আবেগকে জাগিয়ে সমাজকে উদ্দীপ্ত করে, তাপ গ্রহণ করতে চান।

তাইতো দেখি, বৈদিক শাস্ত্রের অমোঘ বাণী :

অথর্ববেদ দ্বিতীয় কান্ড : চতুর্থ অনুবাক  : দ্বিতীয় সুক্ত : পৃ : ৪৭ 

অগ্নে যৎ তে  তপস্তেন তং প্রতি তপ যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ১
হে অগ্নি  তোমার যে সন্তাপ শক্তি আছে, তা দিয়ে আমাদের শত্রুর প্রতি প্রজ্বলিত হও, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।
অগ্নে যৎ হরস্তেন  তং প্রতি হর যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ২
হে অগ্নি তোমার যে সংহার শক্তি আছে, তা দিয়ে তুমি শত্রুদের সংহার করো, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।
 অগ্নে যৎ তেঽর্চিস্তেন তং প্রত্যর্চ যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ৩
হে অগ্নি, তোমার যে দীপ্তি আছে, তা দিয়ে তাকে দগ্ধ করবার জন্য দীপ্ত হও, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।
অগ্নে যৎ তে শোচিস্তেন তং  প্রতি শোচ যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ৪
হে অগ্নি,  তোমার যে শোকজনন সামর্থ আছে, তা দিয়ে তাকে শোকযুক্ত করো, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।
অগ্নে যৎ তে তেজস্তেন তম তেজসং কৃনু  যোঽস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মঃ।  ৫ 
হে অগ্নি, তোমার যে পরকে অভিভব করার যে তেজ আছে, তা দিয়ে তাকে নিস্তেজ করো, যে  শত্রূ  আমাদের বিদ্বেষ করে, আমরা যাদের দ্বেষ করি।

অগ্নিদেব  আমাদের কথা অনুযায়ী কাজ করেন কি না জানিনা। কিন্তু আমরাই অগ্নিকে ইন্ধন যোগাই, একথা সত্য । অথচ অধিক সত্য হচ্ছে, পৃথিবীতে আমরা কেউ কারুর শত্রূ নোই। আমরা সবাই পরমাত্মার অংশ। পরম-পিতার সন্তান। আমরা সবাই এক - অভিন্ন।এই অমোঘ সত্য আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে।  সবাই ভালো থাকুক, সবাই নিরাতঙ্কে থাকুক।

ওম শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।  হরি ওম। 


No comments:

Post a Comment