জীব দেহে অনাদিকাল থেকে ভালো-মন্দ উভয় বৃত্তি বর্তমান। আর এর লড়াইও চিরকালীন। জীবদেহের এই দুই বৃত্তির লড়াইকে বলাহয় দেবাসুরের যুদ্ধ। এই দেবাসুরের যুদ্ধে দেবতারা উদ্গীথ অস্ত্র দ্বারা অসুরদের পরাজিত করেছিলেন। তাই আমাদের ভেতরের অসুরকে যদি দমন করতে চাই , তবে আমাদের উদ্গীথ-এর সাহায্য অপরিহার্য। আমরা সাধারণ মানুষেরা মনে করি, আমাদের নাক হচ্ছে, ঘ্রান-ইন্দ্রিয় মাত্র। কিন্তু দেবসুলভ মানুষেরা মনে করেন, এই নাসিকাতে অবস্থান করেন, আমাদের প্রাণ-পুরুষ বা প্রাণ দেবতা। তাই নাসিকাগ্র আমাদের সাধনার স্থান বটে। এখানেই আমরা আমাদের মনকে স্থাপন করে থাকি, সাধনার সময়। বাক-ইন্দ্রিয়কে আমরা সাধারণ মানুষেরা ব্যবহার করি সত্য-অসত্য ভাষণের জন্য। আর দেবসুলভ মানুষেরা বাক-ইন্দ্রিয়কে ব্যবহার করেন, উদ্গীথ-এর উপাসনার জন্য। চক্ষুকে আমরা ব্যবহার করি, জাগতিক বস্তু দর্শনের জন্য, আর মহাত্মারা এই চক্ষুকে ব্যবহার করেন, ওঁ-কারের মহিমা দর্শনের জন্য। কর্ন-কে আমরা ব্যবহার করি, ভালো-মন্দ শব্দ শোনার জন্য। কিন্তু মহাত্মারা এই কানকে ব্যবহার করে, ওঁ-করে মহিমা শোনার জন্য। আমরা মনকে ব্যবহার করি ভালো-মন্দ চিন্তা করবার জন্য। মহাত্মারা মনকে ব্যবহার করেন, উদ্গীথ-এর উপাসনা করবার জন্য। আমরা প্রাণকে কোনো গুরুত্ত্ব দেই না, তাই প্রাণের আঘাতেই আমরা মারা যাই, মহাত্মারা প্রানেই উপাসনা করেন। তাই তারা ইচ্ছামৃত্যু বরণ করতে পারেন। প্রাণ নিত্যসুদ্ধ, প্রাণ পরিবর্তনীয়।
উদ্গীথ উচ্চারণ করবার সময়, আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস ক্রিয়া বন্ধ রেখে করতে হয়। উদ্গীথ উচ্চারণের সময় আমাদের প্রাণ ও অপানের মধ্যবর্তী ব্যান বায়ুকে ভিতরে ধরে রাখতে হয়। আসলে ব্যান-বায়ু আমাদেরকে শক্তিশালী করে। আমরা যখন কোনো অতিরিক্ত শক্তির কাজ করতে যাই, তখন আমাদের শ্বাস গ্রহণ-বর্জন বন্ধ রাখি, এতে করে আমাদের ভিতরের শক্তি বৃদ্ধি হয়।
এখন কথা হচ্ছে, এগুলোর সঙ্গে উদ্গীথ-এর কি সম্পর্ক ? আসলে "উৎ" অক্ষরটি প্রাণের প্রতীক। "গী" অক্ষরটি হলো বাক আর "থ" হচ্ছে অন্ন। "উৎ" অর্থাৎ উত্থিত হওয়া, যা প্রাণের প্রতীক। আসলে প্রাণ-ই পৃথিবীর সব কিছুকে উত্থান করায়। "গী" হচ্ছে বাক-এর প্রতীক। "থ" হচ্ছে অন্ন বা যিনি আমাদের ধারণ করেন, অর্থাৎ পৃথিবী।
অর্থাৎ এই উদ্গীথ-এর মধ্যে আছে, প্রাণশক্তি,-বাকশক্তি অর্থাৎ ধীশক্তি, ও অন্ন বা আমাদের ধারনকর্ত্রী। তাই উদ্গীথ বা এই ওঁ হচ্ছে বিভিন্ন শক্তিকে জাগ্রত করবার একটা শক্তিশালী ধ্বনি মাত্র।
ওঁ - এর ব্যবহার বা ওঁ -এর উচ্চারণ আমাদেরকে আধ্যাত্মিক, জাগতিক, ও বৌদ্ধিক - এই তিন পৰ্য্যায়ের উন্নতি সাধনের এটি ক্রিয়াশীল পন্থা। এখন আমরা উদ্গীথ এর সাধারণ ধ্বনি ও দ্রুত-ক্রিয়াশীল শুনবো।
ওম শান্তি শান্তি শান্তিঃ। ওম।
উদ্গীথ বা প্রণব যে কোনো সময়, যে কোনো জায়গায়, যে কোনো অবস্থায় উচ্চারিত হতে পারে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া (শেষের পনেরো মিনিট যেটা করা হয়েছে) একমাত্র ভোর বেলা করা যেতে পারে। অথবা খাবার পাঁচ-ছয় ঘন্টা পরে করা যেতে পারে। তবে প্রথমে মাত্র ৫ বার থেকে শুরু করুন, অথবা জোরে চালিয়ে, শুধু মনোযোগ দিয়ে শুনুন, তাতেও আপনার মধ্যে একটা আলোড়ন শুরু হবে। এবং ধীরে ধীরে সেটা ৫ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত করতে পারেন। এই প্রক্রিয়া ভীষণ শক্তিশালী ও কার্যকর। এমনকি অল্প সময়েই এর কার্যকারিতা উপল্বদ্ধিতে আসে। এটি করলে মেরুদণ্ডে শিরশিরানি শুরু হবে। তখন পাশাপাশি ম্যাসেজ করতে হবে।খেয়াল রাখবেন, উপর-নিচ নয়। অথবা উদ্গীথ বন্ধ রাখতে হবে। নিজের শরীরে যতটুকু সহ্য হয়, ততটুকুই করুন। ধীরে ধীরে সময় বাড়ান। অবশ্যই শারীরিক ও মানসিক ব্রহ্মচর্য্য পালন করুন। কাছে কেউ একজন যেন থাকে, যিনি আপনার সুবিধে অসুবিধাগুলো নিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন। আমার কথায় এসব করতে যাবে না। কেননা আমি সাহায্য করবার মত অবস্থায় নেই।
উদ্গীথ বা প্রণব যে কোনো সময়, যে কোনো জায়গায়, যে কোনো অবস্থায় উচ্চারিত হতে পারে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া (শেষের পনেরো মিনিট যেটা করা হয়েছে) একমাত্র ভোর বেলা করা যেতে পারে। অথবা খাবার পাঁচ-ছয় ঘন্টা পরে করা যেতে পারে। তবে প্রথমে মাত্র ৫ বার থেকে শুরু করুন, অথবা জোরে চালিয়ে, শুধু মনোযোগ দিয়ে শুনুন, তাতেও আপনার মধ্যে একটা আলোড়ন শুরু হবে। এবং ধীরে ধীরে সেটা ৫ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত করতে পারেন। এই প্রক্রিয়া ভীষণ শক্তিশালী ও কার্যকর। এমনকি অল্প সময়েই এর কার্যকারিতা উপল্বদ্ধিতে আসে। এটি করলে মেরুদণ্ডে শিরশিরানি শুরু হবে। তখন পাশাপাশি ম্যাসেজ করতে হবে।খেয়াল রাখবেন, উপর-নিচ নয়। অথবা উদ্গীথ বন্ধ রাখতে হবে। নিজের শরীরে যতটুকু সহ্য হয়, ততটুকুই করুন। ধীরে ধীরে সময় বাড়ান। অবশ্যই শারীরিক ও মানসিক ব্রহ্মচর্য্য পালন করুন। কাছে কেউ একজন যেন থাকে, যিনি আপনার সুবিধে অসুবিধাগুলো নিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন। আমার কথায় এসব করতে যাবে না। কেননা আমি সাহায্য করবার মত অবস্থায় নেই।
No comments:
Post a Comment