আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না। যুক্তি-তর্কের ঈশ্বর
উদ্যোক্তাদের একজন, ঈশ্বরের সম্পর্কে বললেন, ধার্ম্মিকদের মতে আমরা সবাই ঈশ্বরের রাজত্ত্বে বাস করি, আবার বিজ্ঞানীদের কথায়, আমরা সবাই প্রকৃতির রাজত্বে বাস করে থাকি। পৃথিবীর সব ধর্ম্মই কোনো না কোনো নামে ঈশ্বরকে ডেকে থাকেন। আবার আধুনিক, শিক্ষিত, বিশেষ করে যারা পশ্চিমের শিক্ষায় শিক্ষিত, এমনকি বিজ্ঞানের ছাত্র তারা হয়তো ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না। আমাদের প্রশ্ন আপনি কি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন ? যদি করেন তবে কেন ? আপনি কি এমন কোনো প্রমান পেয়েছেন, যাতে করে আপনার মনে হয়েছে, যে ঈশ্বর আছেন ? অথবা আপনার কাছে, কি এমন কোনো প্রমান আছে, যে ঈশ্বর বলে কিছু নেই ? ঈশ্বর কি শুধু অন্ধ বিশ্বাস, না এর মধ্যে কোনো সত্য আছে ?
যাই হোক,প্রথম বক্তা বক্তৃতা শুরু করলেন। ইনি এক প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য। বামপন্থী রাজনীতি করেন। আমাদের একটা ধারণা হচ্ছে, বস্তুবাদে যারা বিশ্বাস করেন, তারাই বামপন্থী রাজনীতি করে থাকেন। কিন্তু এই ভদ্রলোক, একটা বিপরীতধৰ্ম্মী কথা বললেন, তিনি বললেন, বস্তুবাদে বা জড়বাদে মানুষের দুঃখের অবসান হতে পারে না। নাস্তিকতা মানুষকে কখনোই মানসিক শান্তি এনে দিতে পারে না। আধ্যাত্মিক পথেই মানুষের দুঃখের অবসান হতে পারে। ঈশ্বর বিশ্বাস মানুষকে শান্তি দিতে পারে। চিন্তা-চেতনা আমাদের আত্মার কাজ। আর এই চিন্তা চেতনা মানুষকে উন্নত করতে পারে। অবাক করা কথা বটে, বামপন্থী শিক্ষিত মানুষ আত্মার কথা বলছেন। যারা সব সময় বলেন, লড়াই-লড়াই-লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই, তাদের মুখে, ঈশ্বরের গুনগান। লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে, ধর্ম্মযুদ্ধ ? বাস্তবের মাটি ছেড়ে, কল্পনার স্বর্গে ? যাইহোক, তিনি আবার বলছেন, ঈশ্বর যে আছেন, সেই উপলব্ধি আমার হয়েছে, আসলে জগৎ কিছু নিয়ম মেনে চলছে, আর এই নিয়মের জন্যই ,সূর্য চন্দ্র পৃথিবী তার নির্দিষ্ট কক্ষপথে চলছে। বাতাস আমাদের প্রাণ দান করছে। ঈশ্বর সেই শক্তি, যা প্রকৃতিকে নিয়মের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখে। ভদ্রলোক বলছেন যে আমি যে সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করে, PHD করতে পেরেছি, এটা আমি মনে করি, আমাকে দিয়ে কোনো শক্তি করিয়েছেন। না হলে, আমার বাবারও সাধ্য ছিল না, যে আমি পিএইচডি করে, প্রফেসরের চাকরি পাই। আমাকে বহু-মানুষ সাহায্য করেছেন সত্য, কিন্তু সে সাহায্য আমাকে ঈশ্বর পাইয়ে দিয়েছেন। যাই হোক ঈশ্বর আছেন, তাই সবকিছু চলছে, অর্থাৎ একটা শক্তি আছে, যা সে ঈশ্বর বলুন, GOD বলুন, বা আল্লাহ যে নামেই ডাকুন না কেন, যার শাসনে এই জগতের প্রাণক্রিয়া চলছে। মানুষের সাধ্য ছিলো না, এই জগতের নিয়ন্ত্রণ করা। আমরা একটা ছোট্ট সংসার চালাতে পারি না, হিমশিম খাই। তো এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের পরিচালনা যে একটা বিশাল শক্তিধর করছেন, ঈশ্বর করছেন, তাতে আমার কোনো সন্দেহ নেই। এইভাবে এক-এক করে, সমস্ত বক্তা ঈশ্বরের অস্তিত্ত্ব স্বীকার করলেন, এবং তাদের জীবনের বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা বর্ণনা করে, ঈশ্বরের মহত্ত্ব প্রকাশ করলেন। এই অনুষ্ঠানে, হিন্দু, খ্রিস্টান, মুসলমান সমাজের শিক্ষিত সব প্রতিনিধিই ছিলেন। তারা নিজস্ব ধর্ম্মমতের প্রশংসা করলেন। এখন ঈশ্বর বলে নেই, এমন মত প্রকাশ করবার সাহস কেউ দেখালেন না।
এবার আমাকে কিছু বলবার জন্য বলা হলো। আমার মনে হলো, আলোচনাটা একপেশে হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ সবাই ঈশ্বরের অস্তিত্ত্বের স্বীকার করছেন, আর সবার ধর্ম্ম মত অনুযায়ী, তার নিজের ধর্ম্মশাস্ত্রকেই প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসেবে উত্থাপন করছেন। তো আমি বললাম, দেখুন ঈশ্বর আছেন, কি নেই, তা আমি জানিনা। ঈশ্বরকে আমি কখনো দেখিনি, আর কোনোদিন দেখতে পাবো, সে আশাও আমি করি না। আর সত্যি কথা বলতে কি, ঈশ্বরকে নিয়ে যারা ব্যবসা করেন, ঈশ্বরকে নিয়ে যারা কল্পনার ফানুস ওড়ান, যারা অলৌকিক শক্তির প্রদর্শন করে থাকেন, তাদের থেকে আমি শতহস্ত দূরে থাকি। ঈশ্বরকে নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। তবে ঈশ্বরের নাম করে, যারা আমার ভাই বোনদের মধ্যে বিভেদের বীজ বপন করে থাকেন, ঈশ্বরের নামে যারা মানুষকে শোষণ করেন, ঈশ্বরের নামে যারা অবলা জীবকে বলি দেন, এমনকি মানুষকে খুন করেন, তাদের ঈশ্বরে আমার কোনো বিশ্বাস নেই। ঈশ্বরের নামে যারা তাবিজ-কবজ দেন, ঈশ্বরের নামে যারা নিরাকার ঈশ্বরের থাকবার জন্য মন্দির মসজিদ গির্জা নির্মাণ করেন, ঈশ্বরের জন্য যারা সিংহাসন বানান,তাদের ঈশ্বরে আমার বিশ্বাস নেই। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে তারাই প্রার্থনা করেন, যারা ঈশ্বরকে অন্তর্যামী বলে মনে করেন না। যে জ্ঞান বা ধর্ম্মশাস্ত্রে ঈশ্বরের স্তুতি করা হয়, কেবল জাগতিক বস্তু পাবার জন্য, নিজের সুরক্ষার জন্য শত্রু নিধন করবার জন্য, সেই জ্ঞানশাস্ত্রে বা ধর্ম্মশাস্ত্রে আমাদের কোনো শ্রদ্ধা নেই।
ঈশ্বরকে জানতে গেলে আগে দেখা দরকার ঈশ্বর কাকে বলে ? কেউ বলছেন, ঈশ্বর একটা শক্তি। কেউ বলছেন, ঈশ্বর সাকার আবার কেউ বলছেন, ঈশ্বর নিরাকার। কেউ বলছেন, ঈশ্বর শুধু অনুভবের বিষয়। কেউ বলছেন, সমস্ত জীবই ঈশ্বর।
দেখুন শক্তি সবসময় বস্তুতেই প্রকাশিত হয়। তাহলে কি বস্তু ভিন্ন ঈশ্বর নেই ? তাহলে ঈশ্বর সর্বত্র একথা সত্য নয় ? খ্রিস্ট ধর্ম্ম বলছে, GOD সাকার। যীশু ঈশ্বরের সন্তান। অর্থাৎ ঈশ্বর মানুষের মতো দেখতে একজন শক্তিমান পুরুষ । ইসলাম ধর্ম্ম বলছে, আল্লাহ নিরাকার। হিন্দু ধর্ম্মে আবার নানা মুনির নানা মত। কেউ বলেন, সাকার, কেউ বলেন নিরাকার, আবার কেউ বলেন, তিনি সাকার-নিরাকার দুইই। ঈশ্বর অনুভবের বিষয়। তাই যদি অনুভবের বিষয় হয়, তবে যার অনুভব আছে, তার কাছে ঈশ্বর আছেন, আবার যার সেই অনুভব নেই, তার কাছে, ঈশ্বর নেই ? আবার সমস্ত জীব ঈশ্বর - তাহলে আলাদা করে ঈশ্বর বলে কিছু নেই, যা আছে, তা এই জীব-জগৎ , যার অপর নাম ঈশ্বর বলা যেতে পারে। তো ঈশ্বরের কোনো সার্জনীন সংজ্ঞা পাওয়া যায় না। কিন্তু এই অনুভব ও সর্বজীবে ঈশ্বরের অস্তিত্ত্ব সম্পর্কে জ্ঞান আমাদের ঈশ্বরের কাছে নিয়ে যেতে পারে। নতুবা ঈশ্বরকে নিয়ে ভিন্নতা, ঈশ্বরকে নিয়ে ব্যবসা, ঈশ্বরকে নিয়ে বর্বরতা, ঈশ্বরকে নিয়ে বৈষম্য, আমাদেরকে ঈশ্বরের থেকে দূরে সরিয়ে নিবে। কিন্তু এগুলো অর্থাৎ ধর্ম্মের নাম বৈষম্য, বর্বরতা, ব্যবসা আমাদের সমাজে ভীষণ ভাবে প্রকট।
হিন্দুদের মনু বলে একজন কাল্পনিক মানুষ ছিলেন, যার নামে "মনু" থেকে আমাদের মানুষ বলা হয়, তিনি নাকি পৃথিবীর প্রথম মানুষ। এগুলো আমার কাছে আজগুবি গপ্পো বই কিছু নয় । ব্রহ্মা তার নিজের মেয়ে শতরূপার সাথে মিলিত হলে মনুর জন্ম হয় বলে একটা কাহিনী প্রচলিত আছে। আবার কেউ বলেন, ব্রহ্মা নিজেই মনুরূপে সৃষ্ট হলেন। মৎস পূরাণে আবার ১৪ জন মনুর কথা বলা হয়েছে। এইসব গল্প এক-একটা রূপক মাত্র। এর পিছনে গুড় অর্থ আছে। যাইহোক, এই মনু কে ছিলেন, কি তার জন্মবৃত্তান্ত, কি তার ক্রিয়াকলাপ, সে সব সম্পর্কে কিছু না জানা থাকলেও, তার নামে একটি গ্রন্থ আমরা দেখতে পাই, যাকে বলে - মনুস্মৃতি বা মনুসংহিতা। যেখানে আমরা বর্ণবাদ বা চতুর-বর্ণের কথা পাই। চতুর্বর্নকে যদি একটু ধীরে উচ্চারণ করি তবে একে চতুর-বর্ণ অর্থাৎ একটা চালাকির দ্বারা সৃষ্ট বর্ণব্যবস্থাকে দেখতে পাই। যে ব্যবস্থায় উচ্চবর্ণ মানুষের একটা শ্রেণীকে কিছু সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। আর নিম্ন বর্গের মানুষকে বিনা পয়সার দাস হিসেবে ব্যবহারকে স্বীকৃতি দিয়েছে, নির্যাতন করবার অধিকার দেওয়া হয়েছে । যেখানে মেয়েদেরকে বা মায়ের জাতিকে, যাঁরা মনুষ্য জাতির অর্ধাংশ, তাদেরকে বলা হয়েছে, চাষের জমি, ভোগের বস্তু।
হিন্দুদের স্বর্গ বলতে বারবণিতাদের নিয়ে দেবতাদের বিলাস। দেবতাদের কাহিনী শুনলে মনে হয়, এরা সবাই কামার্ত ছিলেন। ইন্দ্র, গৌতম ঋষির স্ত্রীকে প্রতারিত করে মিলিত হয়েছিলেন। বিষ্ণু শঙ্খচূড়ের স্ত্রী তুলসী ও জলন্ধরের স্ত্রী বৃন্দার সাথে প্রতারনা করে মিলিত হয়েছিলেন। এমনি অসংখ্য ব্যভিচারীর কাহিনী বা ব্যভিচারের কাহিনী কি করে ধর্ম্মশাস্ত্র হতে পারে তা আমার মাথায় আসে না। এসব দেখে শুনে নৃতত্ত্ববিদ ডঃ অতুলসুর মহাশয় বলেছিলেন, মৈথুন ধর্মটাই সেকালের সনাতন ধর্ম্ম ছিল। তো এইসব শাস্ত্রকারেরা যে ঈশ্বরের কথা বলেছেন, তাকে আমি অবশ্যই বিশ্বাস করি না। যে ঈশ্বর শুধু পুরুষকে প্রাধান্য দেয় - স্ত্রীকে তার দাসী করে রাখতে চায়, সেই ঈশ্বরকে আমি বিশ্বাস করি না। আর একটা অদ্ভুত যুক্তি দেখেছিলাম, কৃত্তিবাস রচিত রামায়নে। রামচন্দ্র যখন শম্বুক নামের শুদ্র-হৃষীকে হত্যার যুক্তি খুঁজছেন, তখন ঋষি নারদ বলছেন :
ত্রেতাযুগে তপস্যা ক্ষত্রিয়-অধিকার,
দ্বাপরেতে তপ করে বৈশ্যের বিচার,
কলিযুগে তপস্যা করিবে শূদ্রজাতি,
তপস্যা নীতি এই শুন রঘুপতি।
তাহলে আজ এই কলিযুগে কি ব্রাহ্মণ-সন্তানদের তপস্যার অধিকার নেই ? অথচ এই রামায়ণ লেখা হচ্ছে কলিযুগে বসেই।
প্রচলিত রামায়ন গ্রন্থ আমরা দেখতে পাই, রামচন্দ্র তথাকথিত ধর্ম্ম রক্ষার জন্য, তিনি শুধু নিজেকে কষ্ট দেন নি, তিনি লক্ষণকে, সীতাকে এমনকি নিজের পুত্রদ্বয়কে অশেষ দুঃখ-কষ্টের মধ্যে নিক্ষেপ করেছিলেন। আমার ভাবতে অবাক লাগে, অমানবিক মানুষই কি ভগবান হয় ?
ইসলাম ধর্ম্মের কথা যত কম বলা যায়, ততোই ভালো। যুক্তিবাদী প্রবীর ঘোষের বইতে পড়ছিলাম, কোরানের সূরা ও আয়াতের ক্রমিক সংখ্যা ২/৯৩, ৯/৫, ২৯/৭৩ অনুসারে পৃথিবীর সব মানুষকে দুভাগে ভাগ করা হয়েছে, মুসলমান ও অমুসলমান। বলছেন, অমুসলমানরা যতদিন না ইসলাম ধর্ম্ম গ্রহণ করছে, ততদিন তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। তাদের সম্পদ লুট করতে হবে, হত্যা করতে হবে। যুদ্ধে যদি কোনও মুসলমান শহিদ হয়, তবে সে শহিদ হবার পরেই বেহেস্তে (স্বর্গে) যাবে। কেয়ামতের (বিচারের) জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। আর সেখানে সে নাকি, সবচেয়ে ভালো ভালো খাবার পাবে, মদ ও অসাধারন সুন্দরী কুমারী যুবতী এমনকি সমকামিতার জন্য সুন্দর কিশোর থাকবে। কোরানের ২৩/৫-৬ তে বলা হয়েছে বন্দি রমনীদের সঙ্গে অবাধে যখন ইচ্ছে সঙ্গম করা যাবে। খ্রিস্টানরা বস্তুবাদের শিক্ষায়, উচ্চশ্রেণীর হলেও, তথাকথিত ধর্মের নামে ইহুদীদের যা অত্যাচার করেছে, তা সমস্ত বর্বরতাকে ছাড়িয়ে যায়। আবার খ্রিষ্ট ধৰ্মাৱলম্বীগণ বলে থাকেন, সমস্ত পৃথিবীর মানুষ একসময় তাদের ধর্ম্মম্ত অবলম্বন করবেন, আর তারপরেই নাকি পৃথিবীর প্রাণক্রিয়া শেষ হবে। ধর্ম্মগ্রন্থের সব কথাই পরিত্যাজ্য তা নয়। তবে ধর্ম্মগ্রন্থের বহু কথা মানবতাধর্ম্মী, সেই জায়গাগুলোকে আমাদের ধরতে হবে। যাইহোক, এসব মানবতাবিরোধী কথা যত কম আলোচনা করা যায়, ততই ভালো। যে লক্ষণ রামচন্দ্রের জন্য নিজের স্ত্রী সংসার ত্যাগ করে বড়োভাই রামের সুখ দুঃখের সাথী হয়েছিলেন, সেই লক্ষণকে স্রেফ ধর্ম্মের অজুহাতে, একসময় রামচন্দ্র বর্জন করেছিলেন, আর সেই দুঃখে লক্ষণ সরযূ নদীর ক্ষরস্রোতে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন।
তো একটা কথা মনে রাখবেন, আপনি যে ঈশ্বরের গুনগান করছেন, যার পিছনে ছুটছেন, যার সান্নিধ্য পাবার জন্য, প্রাণপাত করছেন, তিনি যেকোনো অছিলায়, আপনার বিপদের দিনে আপনাকে পরিত্যাগ করবেন। আর এটা যদি সত্য হয়, তবে আমি এক্ষুনি সে ঈশ্বরকে পরিত্যাগ করতে চাই। আমি সেই ঈশ্বরকে চাই, যিনি আমাদের পরিশীলিত চিন্তার অধিকারী করে দেবেন, যে ঈশ্বর আমাদেরকে সমস্ত দুঃখের বিরুদ্ধে লড়াই করবার শক্তি যোগাবেন, যে ঈশ্বর আমাদের শুভ বুদ্ধি প্রদান করবেন। যে ঈশ্বর আমাদের সত্যের সন্ধান দেবেন। সর্বোপরি যে ঈশ্বর সমস্ত মানুষকে, এমনকি সমস্ত জীব জগৎকে প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ করতে সাহায্য করবেন।
হে ঈশ্বর তোমার ছবি আমার চোখে ভাসছে।
হে ঈশ্বর তোমার কথাই আমার মুখে আসছে,
হে ঈশ্বর তোমার ঠিকানা আমার অন্তরে।
হে ঈশ্বর তুমি কোথায়, কিভাবে অদৃশ্য হতে পারো ?
হে ঈশ্বর তুমি আছো, আমার অনুভবে,
হে ঈশ্বর তুমি কখনোই বিশ্বাসের বিষয় নয়।
ওম শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ। হরি ওম।
No comments:
Post a Comment